সন্দেহভাজনদের বহিষ্কারের নির্দেশ
২২ মার্চ ২০১৭গ্যোটিংগেনে উগ্র ইসলামপন্থি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এই দু'জনের সম্পর্কের বিষয়ে তদন্তকারীরা নিশ্চিত৷ তাই এদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল জার্মান কর্তৃপক্ষ৷ অভিযুক্তরা অবশ্য সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করে জার্মানিতে থেকে যেতে চেয়েছিল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টিকলো না৷
২৭ বছর বয়সি আলজেরীয় এবং ২২ বছর বয়সি এই নাইজেরীয় নাগরিককে গতমাসে গ্যোটিংগেনে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ তারা খুব দ্রুত সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিল বলেও জানা যায়৷ গ্রেপ্তারের আগে বেশ কিছুদিন পুলিশ তাদের নজরে রেখেছিল, কেননা আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ‘‘ইসলামিক স্টেটের’’ (আইএস) প্রতি তাদের সমর্থনের বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে৷
আলোচিত দু’জনেরই জন্ম গ্যোটিংগেনে এবং তারা সেখানে তাদের পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছিল৷ মঙ্গলবার লাইপসিগে অবস্থিত কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক আদালত জানায় যে, এবার তাদের জার্মানি থেকে বহিষ্কারে কোনো আইনি বাধা নেই৷ এর আগে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনা করে তাদের জার্মানি থেকে বের করে দিতে অনুরোধ করেছিল রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷
এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন দু'জনকে দ্রুতই ফেরত পাঠানো হতে পারে৷ শুধু তাই নয়, এরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আর জার্মানিতে ফিরতে পারবেন না৷ লোয়ার সাক্সেনির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা সারাদেশের সমস্ত উগ্রপন্থিকে এই বার্তা দিতে চাই যে, তাদের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এক সেন্টিমিটার জায়গাও দেয়া হবে না জার্মানিতে৷’’
অভিযুক্ত এই আলজেরীয়কে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে সেদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জার্মানি৷ আলজেরিয়া থেকে এই নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে, তাকে ফেরত পাঠানো হলে তার সঙ্গে কোনোরকম অমানবিক আচরণ করা হবে না৷ তবে নাইজেরিয়ার নাগরিকের ক্ষেত্রে এ রকম কিছু করা হয়েছে কিনা, তা এখনো জানা যায়নি৷
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে বার্লিনের ক্রিসমাস মার্কেটে ট্রাক হামলার পর নিরাপত্তা ইস্যুতে বেশ কঠিন অবস্থান নিয়েছে জার্মানি৷ এক টিউনিশীয় নাগরিক সেই হামলা চালায়, যাতে প্রাণ হারান ১২ ব্যক্তি৷ এ ঘটনার পর যেসব অভিবাসীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হয়েছে, তাদেরও দ্রুত স্ব স্ব দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে জার্মানি৷
এআই/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, ইপিডি)