নারী জঙ্গি নেটওয়ার্কের সন্ধান
২৭ ডিসেম্বর ২০১৭নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের ‘প্রোটেকশন অফ দ্য কন্সটিটিউশন' বা বিএফভি-র প্রধান বুর্খার্ড ফ্রায়ার ‘ফ্রাংকফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং' পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ঐ নেটওয়ার্ক সালাফি মতবাদের কঠোর অনুসারী৷ সালাফি এ সব শিক্ষার মধ্যে আছে, কীভাবে সন্তান পালন করতে হবে, ইসলামের নিয়মকানুন কীভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে এবং তথাকথিত ‘অবিশ্বাসীদের' বিরুদ্ধে কীভাবে ঘৃণা ছড়াতে হবে৷ এছাড়া নেটওয়ার্কের সদস্যরা ইন্টারনেটে সালাফি মতবাদের প্রচার ও প্রসারে সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে জানান ফ্রায়ার৷ তিনি বলেন, সালাফিদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের মিলিয়ে ফেলা ঠিক না হলেও এটা ঠিক যে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপের প্রত্যেক জিহাদি সালাফি মতবাদের অনুসারী ছিলেন৷
ফ্রায়ার বলেন, এই নারীরা তাঁদের সন্তানদের মধ্যেও সালাফি মতবাদ ঢুকিয়ে দিচ্ছেন৷ অর্থাৎ ‘এটি একটি পারিবারিক বিষয়' হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
নেটওয়ার্কের সদস্যদের এ ধরনের কাজের প্রতি তাঁদের স্বামীদের সমর্থন আছে৷ ‘‘পুরুষরা দেখেছে যে, নারীরা ভালো নেটওয়ার্ক করতে পারে৷ ফলে সালাফি মতবাদের প্রসারে তাঁরা বেশ কার্যকর হতে পারে,'' বলেন ফ্রায়ার৷
ফ্রায়ারের এসব মন্তব্যের সঙ্গে মধ্য-ডিসেম্বরে জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের মিল পাওয়া যায়৷ ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জার্মান কর্তৃপক্ষ কয়েক ডজন মুসলিম নারী ও তরুণকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে৷
জার্মানির বিএফভি সংস্থা আরও সতর্ক করে বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে তথাকথিতইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর দাপট কমে যাওয়ায় জিহাদিদের সিরিয়া ও ইরাকে যাওয়ার সংখ্যা কমেছে৷ তবে জিহাদিদের ফিরে আসার ঘটনা বেড়েছে৷ ফিরে আসাদের মধ্যে অনেক নারীও আছেন বলে জানিয়েছেন ফ্রায়ার৷
জেডএইচ/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, কেএনএ)