1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতি এক লাফে আট ছুঁই ছুঁই

৩১ মে ২০২২

দুই জার্মানি এক হওয়ার পর এই প্রথম মুদ্রাস্ফীতি এতটা বেড়েছে৷ ডিস্ট্যাটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জার্মানিতে চলতি মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৯-এ ঠেকেছে৷

https://p.dw.com/p/4C5d2
Deutschland | Einkaufen in Düsseldorf
ছবি: Ying Tang/NurPhoto/picture alliance

গত মাসে, অর্থাৎ এপ্রিলেও মুদ্রাস্ফীতি সাম্প্রতিক সময়ের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল বলে জানাচ্ছে জার্মানির পরিসংখ্যান বিষয়ক সংস্থা ডিস্ট্যাট৷ তবে মে মাসে এপ্রিলের চেয়েও এক দশমাংশ বেড়ে ৭.৯ ভাগ হওয়ায় পরিস্থিতি জার্মানির একত্রীকরনের পরের সব খারাপ সময়কেই পেছনে ফেলেছে৷ ডিস্ট্যাটের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বশেষ ১৯৭৩-৭৪-এর ভয়াবহ তেল সংকটের সময়েই শুধু এমন পরিস্থিতি দেখেছিল জার্মানি৷

এত উচ্চ হারের মুদ্রাস্ফীতির জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ এবং যুদ্ধের কারণে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া৷ তারপর থেকে জ্বালানির দাম হু হু করে বাড়ছে৷ ভোগ্যপণ্যের দামও বাড়ছে দ্রুত৷ গত বছরের মে মাসের তুলনায় জার্মানিতে জ্বালানির দাম বেড়েছে ৩৮.৩ ভাগ আর খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে শতকরা ১১ ভাগ৷

Pressebilder Tafel Deutschland Bundesverband
ছবি: Thomas Lohnes/Getty Images

পরিস্থিতি সামাল দেয়ার উদ্যোগ

ভোক্তার ওপর থেকে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধগতির চাপ কমাতে কিছু ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে জার্মান সরকার৷ জুন থেকে আগস্ট – এই তিন মাসের জন্য আঞ্চলিক পর্যায়ে সস্তায় (নয় ইউরো) গণ পরিবহণের টিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে৷ ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রোলে গাড়ি চালকদের জন্য প্রতি লিটারে ২৯.৫৫ সেন্ট এবং ডিজেলে প্রতি লিটারে ১৪.০৪ সেন্ট মূল্যছাড় দেয়া হয়েছে৷

মুদ্রাস্ফীতি আরো বাড়বে?

এসব উদ্যোগে ভোক্তাদের সাময়িক উপকার হবে ঠিকই, তবে বেরেনবার্গ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হোলগার শ্মিডিং মনে করেন, এসব জনমোহিনী উদ্যোগের কারণে জার্মানির অর্থনীতি আরো চাপে পড়বে৷ রয়টার্সকে হোলগার শ্মিডিং বলেছেন, ‘‘গ্যাস পাম্পে দেয়া ডিসকাউন্ট এবং অন্যান্য বিশেষ ব্যবস্থার কারণে আগামী মাসগুলোতে মুদ্রাস্ফীতির হার আরো বেড়ে যেতে পারে৷''

অন্যদিকে আলিয়ান্স ট্রেড-এর শিল্প বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অরেলিয়েন ডুথোইট মনে করেন, জার্মানিতে ভোগ্যপণ্যের দাম আগামীতে আরো বাড়বে৷ তার অনুমান, এ বছর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার ১০.৭ শতাংশে গিয়ে ঠেকবে৷ এর ফলে ভোগ্যপণ্যে মাসিক খরচ গড়ে ২৫০ ইউরো পর্যন্ত বাড়লেও তিনি অবাক হবেন না৷

বৈশ্বিক সমস্যা

দ্রব্যমূল্য এবং মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি অবশ্য প্রথমে করোনা মহামারি এবং তারপর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অনেক দেশেই হচ্ছে৷ জার্মানিসহ ইউরোপের প্রায় সব দেশের অর্থনীতিই জোড়া আঘাতে প্রাভাবিত৷ বছর শেষে এর প্রভাবে অর্থনীতি আরো বিপর্যস্ত হতে পারে- এমন আশঙ্কাই করছেন বিশেষজ্ঞরা৷  ২০২২ সালের শেষ নাগাদ সারা ইউরোপেই মুদ্রাস্ফীতি সার্বিকভাবে ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের৷

এসিবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ, এপি)