জার্মানিতে দুর্নীতি
৩ জানুয়ারি ২০১৩দুর্নীতিটা হচ্ছে লিভার প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে৷ লিভার বা যকৃত যেহেতু সহজে পাওয়া যায় না, তাই জার্মানির হাসপাতালগুলোতে এক ধরণের ‘রেটিং' ব্যবস্থা চালু আছে৷ এর আওতায় রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে একটা তালিকা তৈরি করা হয়৷ এরপর লিভার পাওয়া সাপেক্ষে ঐ তালিকা অনুযায়ী রোগীর দেহে লিভার প্রতিষ্ঠাপন করা হয়৷ কিন্তু সম্প্রতি লাইপশিস ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের তিন চিকিৎসককে নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা টাকা বা ঘুসের বিনিময়ে পেছনে থাকা রোগীদের নাম তালিকায় এগিয়ে দিয়েছেন৷
অভিযুক্ত এই তিন চিকিৎসকের দায়িত্ব ছিল রোগীর তালিকা তৈরি করা৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তাঁরা ৩৮ জন রোগীর ক্ষেত্রে অনিয়ম দেখতে পেয়েছেন৷ হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ভল্ফগাং ফ্লাইগ বলছেন, ‘‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি না যে, এসব ক্ষেত্রে টাকার বিষয়টি জড়িত ছিল না৷''
হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ অডিটের সময় অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে৷
পুরো বিষয়টি নিয়ে এখন তদন্ত করছে পুলিশ৷ তদন্তের সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা রিকার্ডো শ্যুলজ বলছেন, তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ বিষয়টিতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা – তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
উল্লেখ্য, লাইপশিসের আগে আরও দুটি জার্মান শহরের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল৷ সেগুলোর এখনো তদন্ত চলছে৷
গ্যোটিঙ্গেনের এক চিকিৎসক ঘুসের বিনিময়ে বাইরের দেশ থেকে আসা ধনাঢ্য রোগীদের নাম তালিকায় সামনের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে৷
মিউনিখের একটি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে তদন্ত চলছে৷
সরকারি হিসেবে, ২০১১ সালে জার্মানিতে প্রায় ১২০০ জন রোগীর দেহে লিভার প্রতিস্থাপিত হয়েছে৷ আরেকটি পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি চারজন জার্মানের একজন একটা ফর্মে সই করে রেখেছেন৷ এর ফলে তাঁরা যদি হঠাৎ করে তরুণ বয়সে মারা যান, তাহলে তাঁদের অঙ্গ আরেকজনকে দেয়া যেতে পারে৷
জেডএইচ/ডিজি (ডিপিএ)