জার্মানির অখ্যাত ক্লাবের কাছে সেরা দলগুলো কুপোকাত
২৪ অক্টোবর ২০১১বুন্ডেসলিগার আসরে প্রায় প্রতি মৌসুমেই সাফল্যের পরিচয় দিয়ে সুখ্যাতি অর্জন করেছে, এমন কিছু দলের কথা বলতে গেলেই উঠে আসে ভল্ফসবুর্গ, ভ্যার্ডার ব্রেমেন, ম্যোনশেনগ্লাডবাখ, বায়ার লেভারকুজেন কিংবা বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডের নাম৷ কিন্তু চলতি মৌসুমে জার্মান কাপে দেখা যাচ্ছে রাজেনবালস্পর্ট লাইপসিশ, হাইডেনহাইম, ড্যুনামো ড্রেসডেন, ফরটুনা ডুসেলডর্ফ কিংবা আন্ট্রাক ট্রিয়ার এর মতো ক্লাবগুলোর জয়ের ধারা৷ তা-ও আবার বুন্ডেসলিগার অনেক সেরা ক্লাবের বিরুদ্ধে৷ ফলে ফুটবল প্রেমীদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে পেছনের সারিতে থাকা এসব ছোট ছোট দল৷
ইতিমধ্যে জার্মান কাপের প্রথম রাউন্ডেই চারটি ছোট দল তারকা ক্লাবগুলোকে নাস্তানাবুদ করেছে৷ আর তাদের দেখেই মহা উৎসাহে মঙ্গলবার ও বুধবারের দ্বিতীয় রাউন্ডেও এমন অঘটন ঘটানোর প্রত্যাশা করছে আরো কিছু দল৷ লিগ ফুটবলে ফোর্থ ডিভিশনের ক্লাব রাজেনবালস্পর্ট লাইপসিশ ইতিমধ্যে ভল্ফসবুর্গকে হারিয়েছে৷ মঙ্গলবার তারা মুখোমুখি হবে বুন্ডেসলিগার দল আউগসবুর্গের৷ একইদিনে হাইডেনহাইম লড়বে বুন্ডেসলিগার শীর্ষ সারির অন্যতম দল বোরুসিয়া ম্যোনশেনগ্লাডবাখের৷ গত সপ্তাহান্তে বুন্ডেসলিগার খেলায় হফেনহাইমের কাছে হেরেছে ম্যোনশেনগ্লাডবাখ৷ এছাড়া তাদের অন্যতম ভরসা আন্ড্রে টের স্টেগেন আবার ইনজুরির শিকার৷ ফলে হাইডেনহাইমের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারবে না বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
এদিকে, ফার্স্ট রাউন্ডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দল বায়ার লেভারকুজেনকে হারিয়ে সেকেন্ড ডিভিশনের দল ড্যুনামো ড্রেসডেন এবার লড়তে যাচ্ছে বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে৷ এছাড়া শালকে বুধবার মুখোমুখি হচ্ছে সেকেন্ড ডিভিশনের ক্লাব কার্লসরুয়ের এসসি'র৷ সপ্তাহান্তে অবশ্য বায়ার লেভারকুজেনের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয় পেয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে শালকে৷ ফলে থার্ড রাউন্ডে খেলার স্বপ্ন শালকের চোখেমুখে৷
ওদিকে, বায়ার্ন মিউনিখ লড়তে যাচ্ছে সেকেন্ড ডিভিশনের ক্লাব ইঙোলশ্টাটের বিরুদ্ধে৷ তবে বাঘা দল মিউনিখের কোচ ইয়ুপ হেইংকেস ইঙোলশ্টাটকে বেশ হাল্কাভাবেই নিচ্ছেন৷ কারণ ইতিমধ্যে তিনি ইঙোলশ্টাটের বিরুদ্ধে তাঁর দলের রিজার্ভ খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন৷ তবে খ্যাতির দৌড় কম-বেশি যা-ই হোক না কেন অঘটন ঘটতে খুব একটা সময় লাগে না৷ তাই সেরা দলগুলোকেও একটু সতর্কতার সাথেই মাঠে নামতে হবে ছোট দলগুলোর বিরুদ্ধে - এমনটিই মনে করছেন ফুটবলবোদ্ধারা৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন