1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির আগামী চ্যান্সেলর হতে পারেন শলৎস?

১২ আগস্ট ২০২১

বিদায়ী চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের ডেপুটি ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী ওলাফ শলৎস ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে নিজের দলের প্রতি সমর্থনও বাড়িয়ে চলেছেন৷ ফলে আগামী সরকারের নেতৃত্বের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3ys86
Wahlplakat Olaf Scholz
ছবি: Karina Hessland/imago images

জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের আর দুই মাসও দেরি নেই৷ অথচ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের প্রায় ১৬ বছরের ক্ষমতাকালের শেষে আগামী সরকারের রূপরেখা বা তাঁর উত্তরসূরি সম্পর্কে এখনো কোনো নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস সম্ভব হচ্ছে না৷ জনমত সমীক্ষায় কোনো শীর্ষ চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী বা দলের পক্ষে জোরালো সমর্থন চোখে পড়ছে না৷ ফলে নির্বাচনের পর আসনসংখ্যার ভিত্তিতে দুইয়ের বদলে তিনটি দলের জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা বাড়ছে৷

অথচ ম্যার্কেলের আমলে ইউনিয়ন শিবির জার্মানির সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজস্ব অবস্থান প্রায় অটুট রাখতে পেরেছিল৷ তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি বাছাইয়ের আগে পর্যন্ত সেই অবস্থান মোটামুটি অক্ষত ছিল৷ কিন্তু চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরমিন লাশেট আসরে নামার পর থেকে সিডিইউ ও সিএসইউ দলের জনপ্রিয়তা কমেই চলেছে৷ বিশেষ করে জুলাই মাসের মাঝামাঝি নিজের রাজ্যে বিধ্বংসী বন্যার পর তাঁর দুর্বল ও বিতর্কিত ভূমিকা প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ তাঁর বদলে বাভেরিয়ার মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডার নেতৃত্বের সেই সুযোগ পেলে কিন্তু এমন অধঃপতন হতো না বলে সমীক্ষায় বার বার স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ ফলে আগামী সরকারের নেতৃত্বের সুযোগ ইউনিয়ন শিবিরের জন্য অধরা থেকে যেতে পারে৷ বিপর্যয় এড়াতে দুই দলের মধ্যেই কাণ্ডারী হিসেবে লাশেটকে সরিয়ে স্যোডারের হাতে হাল দেবার দাবিও বাড়ছে৷ মরিয়া হলে লাশেট জোরালো নির্বাচনি প্রচারের মাধ্যমে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা শুরু করেছেন৷

অন্যদিকে তিন চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর মধ্যে সমর্থনের বিচারে শেষ স্থান থেকে ধীরে ধীরে শীর্ষে উঠে এসেছেন এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎস৷ ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং শান্ত স্বভাব মানুষের মনে ধরছে৷ এবার তার দলও দুর্বলতা কাটিয়ে সমর্থনের বিচারে সবুজ দলকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে, যদিও সরকারের নেতৃত্ব দেবার মতো অবস্থানে এখনো পৌঁছতে পারে নি৷

জার্মানির আগামী জোট সরকারের নেতৃত্ব বা শরিক দল হবার আশা সবুজ দলের কাছে অধরা থেকে যেতে পারে৷ ইউনিয়ন শিবিরের মতো সবুজ দলও চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর জনপ্রিয়তার অভাবের কারণে পিছিয়ে পড়ছে৷ একের পর এক ব্যক্তিগত বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায়  আনালেনা বেয়ারবক চ্যান্সেলর হবার স্বপ্ন ত্যাগ করতে কার্যত বাধ্য হচ্ছেন৷ দলের জনপ্রিয়তাও কমে চলেছে৷

জার্মানির আগামী জোট সরকারে শরিক হিসেবে উদারপন্থি এফডিপি দলের সম্ভাবনা বেড়ে চলেছে৷ দলের শীর্ষ নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার এখন থেকেই নিজেকে অর্থমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে তুলে ধরছেন৷

 

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)