জার্মানির ঘড়ি তৈরির শহর গ্লাসহ্যুটে
২৮ জানুয়ারি ২০২২বর্তমানে নয়টি ঘড়ি কারখানায় প্রায় ১,৭০০ জন কাজ করছেন৷ ফলে শিগগিরই হয়ত ‘মেড ইন গ্লাসহ্যুটে' একটি ট্রেডমার্ক হয়ে উঠতে পারে৷
জার্মানির ড্রেসডেন থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্লাসহ্যুটে৷ ১৮৪৫ সালে স্যাক্সোনি সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ঋণ দিয়ে গ্লাসহ্যুটেতে প্রথম ঘড়ির কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ফার্দিনান্দ আডল্ফ লাঙ্গে৷
গ্লাসহ্যুটে স্টেশনের সঙ্গে ‘নমোস' ঘড়ি কারখানার একটি ভবন আছে৷ ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি এখন জার্মানির সবচেয়ে বড় ঘড়ি নির্মাতা৷ কোম্পানির ডিজাইন ও ব্র্যান্ড প্রধান ইয়োডিথ বরোভস্কি বলেন, ‘‘১৭৫ বছর আগে ঘড়ি নির্মাতারা যেভাবে কাজ করতেন এখনও আমরা তার অনেক কিছু ব্যবহার করি৷ এখনও অনেক কাজ হাতে করা হয়৷ কিন্তু যে জায়গায় হাতের চেয়ে উচ্চপ্রযুক্তি ব্যবহার করলে মান ভালো হবে বলে মনে হয়, সেখানে আমরা তাই করি৷ যেমন এমন কিছু আছে যেগুলো চুলের চেয়েও পাতলা৷ অর্থাৎ মাইক্রোমিলিমিটার পর্যায়ের কাজের জন্য আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করি৷ এভাবে আধুনিকতা আর ঐতিহ্যের মিল ঘটে৷’’
নমোসের ক্রনোমেট্রি বিভাগে খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হয়৷ তারা বাউহাউস ম্যুভমেন্ট থেকে ঘড়ির ডিজাইনের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন৷ দেশের বাইরেও নমোসের কয়েকটি অফিস আছে৷ ৫২ দেশে ঘড়ি রপ্তানি করে তারা৷
হানাহ হুমেল/জেডএইচ