জার্মানির নতুন চা সংস্কৃতি
১৪ এপ্রিল ২০১৫জার্মানিতে অনেকেই যেন পানীয়টি পুনরাবিষ্কার করছেন: আমরা যাকে বলি চা৷ বছরে জার্মানরা গড়ে ২৭ লিটার চা পান করেন৷ শতকরা ৭৫ জন জার্মানের পছন্দ হল ব্ল্যাক টি বা সাধারণ কালো পাতার চা; বাকি এক-চতুর্থাংশ গ্রিন টি বা চীনা চায়ের ভক্ত৷ টি-ব্যাগের দিন ফুরোতে চলেছে: জার্মানরা ক্রমেই খুচরো প্যাক করা, নামী-দামী লেবেলের চায়ের দিকে ঝুঁকছেন৷
‘ডেয়ার ফাইনস্মেকার' পত্রিকার সম্পাদক ক্যার্স্টেন ভেটেনকাম্প বলেন, ‘‘জার্মানরা যে ক্রমেই আরো বেশি চা খাচ্ছেন, তার একটা কারণ হতে পারে যে, তারা গুণগত উৎকর্ষের দিকে বেশি মন দিচ্ছেন: যা খাচ্ছেন, তার জন্য আরো বেশি টাকা খরচ করতে প্রস্তুত; পানীয় সচেতনভাবে উপভোগ করতে চান৷ এবং চা সে তালিকায় আসবেই, কেননা চা হল উপভোগ করার বস্তু, যেমন কফিকেও একটা উপভোগ করার বস্তু বলা চলে৷ কাজেই নানা ধরনের চা নিজের মতো করে আবিষ্কার করার অফার চতুর্দিক থেকে পাওয়া যায়৷''
হামবুর্গ শহরের বন্দরের কাছে যে ‘স্পাইশারস্টাট' বা মালগুদামের এলাকা আছে, সেখানে একটি রেস্তোরাঁ সহ চায়ের দোকান পাওয়া যাবে, যার নাম ‘ভাসারশ্লস' বা জলে ঘেরা দুর্গ৷ এখানে সপ্তাহে একবার একটি চায়ের সেমিনারের আয়োজন করা হয়৷ আগ্রহীরা এই সেমিনারে তাদের পরিচিত পানীয়টি সম্পর্কে অনেক নতুন কিছু জানতে পারেন৷ দেড় ঘণ্টার মধ্যে চা বাগান থেকে শুরু করে চা তৈরির সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়৷ জার্মানিতে এ ধরনের সেমিনার ক্রমেই আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷
‘ভাসারশ্লস হামবুর্গ' রেস্তোরাঁর টি-টেস্টার ট্রিক স্ট্যুবেন বলেন, ‘‘চা এতো ধরনের হয়, বিশেষ করে সাধারণ কালো পাতার চা৷ আমরা বলি চা গাছের পণ্য, যাতে অন্য কোনো স্বাদ-গন্ধ মেশানো হয়নি৷ এ রকম তিন হাজার আটশো রকমের চা আছে, কাজেই চায়ের দুনিয়াটা বিশাল এবং তা নিয়ে বলতে ভালো লাগে৷''
দোকানে প্রায় ৩০০ রকমের চা রাখা আছে৷ ভালো চা তার পাতা দেখেই বোঝা যায়৷ সবুজ আর সাদা চায়ের ক্ষেত্রে, পাতার রং যতো হালকা হবে, ততোই ভালো৷
ইউরোপের চায়ের বাজারে সবচেয়ে নতুন আর বিলাসী চা হল জাপানের মাচা চা৷ তার এক কাপ চায়ের দামই হল ৩০ ইউরো৷ মাচা চা হল গুঁড়ো সবুজ চা, বাঁশের কঞ্চির ঘুটনি দিয়ে যা ফেটানো হয়ে থাকে৷ এটি নাকি খুবই স্বাস্থ্যকর৷