1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির নির্বাচনের প্রভাব

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক শক্তি জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচন আসন্ন৷ ফলে নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আটকে রয়েছে ইউরোপীয় স্তরে৷ এদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর লক্ষ্যে পদক্ষেপ দেখতে চাইছে ইসিবি৷

https://p.dw.com/p/19jTO
ছবি: Sean Gallup/Getty Images

২২শে সেপ্টেম্বর জার্মানির সাধারণ নির্বাচনের কারণে ব্রাসেলস-এ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাজকর্মও যেন থমকে গেছে৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ভোটারদের কথা ভেবে বেশ কিছুকাল ধরে বিতর্কিত বিষয়গুলি এড়িয়ে চলছেন৷ ফলে জার্মানিতে আগামী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত ইইউ-র বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না৷ এর মধ্যে রয়েছে গ্রিসের জন্য সম্ভাব্য তৃতীয় দফার বেলআউট, ইউরো এলাকার ব্যাংকিং ইউনিয়ন ইত্যাদি৷ ম্যার্কেলই আবার চ্যান্সেলর হিসেবে সরকার গড়বেন, এটা ধরে নিলেও আগামী জোট সরকার গড়তে নভেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে৷ তবে জার্মানির আগামী সরকারও বাস্তববাদী অবস্থান বজায় রেখে ধাপে ধাপে সিদ্ধান্ত নেবে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷

Symbolbild Bankenrettung EZB Baustelle Europäische Zentralbank
২২শে সেপ্টেম্বর জার্মানির সাধারণ নির্বাচনের কারণে ব্রাসেলস-এ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাজকর্মও যেন থমকে গেছেছবি: picture-alliance/AP Photo

গ্রিসের আদৌ আরও সহায়তা লাগবে কিনা, সেই বিষয়টি আগামী বছরের শুরুর দিকে স্পষ্ট হয়ে উঠবে বলে মনে করছে ইউরোগ্রুপ৷ অন্যদিকে পর্তুগাল বর্তমান বেলআউট-এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর্থিক বাজারে আবার প্রবেশ করার জন্য আরও সহায়তা চেয়েছে৷ অর্থাৎ ২০১৪ সালের জুন মাসের পরের অবস্থার জন্য এখনই প্রস্তুত হতে চায় সেই দেশ৷ আয়ারল্যান্ড-এর ক্ষেত্রেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার জন্য এমন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল৷ আপাতত সংস্কার ও ব্যয় সংকোচের ক্ষেত্রে পর্তুগালের অগ্রগতি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷ সে দেশের সরকার কিছু শর্ত শিথিল করার আবেদন জানিয়েছে৷ এদিকে ইউরোগ্রুপ সাইপ্রাসকে পুরোপুরি বেলআউট না দেয়ায় রাশিয়ার কিছু ধনী ব্যক্তি রক্ষাকর্তা হিসেবে এগিয়ে এসেছে৷ এমনকি ব্যাংক অফ সাইপ্রাসের পরিচালকমণ্ডলীতে ৬ জন রুশ নাগরিক নিযুক্ত হয়েছেন৷

সংস্কার ও ব্যয় সংকোচের পাশাপাশি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার বিষয়টিও আলোচিত হচ্ছে৷ যেমন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইউরোজোন দেশগুলির সরকারের উদ্দেশ্যে আরও বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে উদ্যোগ নেবার আহ্বান জানিয়েছে৷ ইসিবি প্রধান মারিও দ্রাগি বলেছেন, প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের অবস্থান পাকা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি নিতে হবে৷ ইউরো এলাকায় স্থিতিশীলতা রক্ষায় অনেক কাজ হয়েছে৷ এবার প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে হবে, বলেন দ্রাগি৷

সার্বিকভাবে ইউরোপের পুঁজিবাজার সোমবার বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল৷ এর অন্যতম কারণ মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ফেড'-এর পরবর্তী প্রধান হিসেবে লরেন্স সামার্স-এর প্রার্থিতা প্রত্যাহার৷ গাড়ি বিক্রির হার কমে যাওয়ায় মঙ্গলবার অবশ্য শেয়ারের মূ্ল্য কিছুটা পড়ে যায়৷ তবে ইউরো এলাকায় মূল্যস্ফীতি পর পর ৪ মাস ধরে কমে চলেছে, এই খবরটিকে বাজারে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য