1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসের সংকট প্রকটতর

২৫ জুলাই ২০১২

চলতি সপ্তাহে ইউরো মুদ্রা এলাকায় একের পর এক খারাপ খবর আসছে – যেমন জার্মানির রেটিং কমার আশঙ্কা, গ্রিসের দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম, স্পেনের বেলআউট’এর প্রয়োজনীয়তার সম্ভাবনা৷

https://p.dw.com/p/15e6H
ARCHIV: Auf dem Foto ist das Firmenlogo der Ratingagentur Moody's in New York zu sehen (Foto vom 13.07.12). Moody's hat die Kreditwuerdigkeit Italiens am Freitag (13.07.12) um zwei Stufen gesenkt. Die Bonitaet von Staatsanleihen sank von "A3" auf "Baa2". Damit liegt das Rating Italiens nur noch zwei Stufen ueber Ramschniveau. (zu dapd-Text) Foto: Mark Lennihan/AP/dapd
ছবি: dapd

ইউরো এলাকায় লাগাতার সংকট সত্ত্বেও কেউ ভাবতে পারে নি যে, জার্মানির রেটিং নেমে যেতে পারে৷ তবে নিজস্ব দুর্বলতার কারণে নয়, বাকিদের সাহায্য করতে গিয়েই জার্মানির এই অবস্থা৷ তার ‘ট্রিপল এ' রেটিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মুডিস৷ জার্মানির মধ্যেও চরম বিরক্তি ও ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে৷ বাকিদের সহায়তার সীমা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ গ্রিস'এর মতো চিররুগ্ন দেশকে সাহায্য করতে গিয়ে জার্মানিকে নিজের ঋণের উপর চড়া সুদ দিতে হলে তা মেনে নিতে নারাজ অনেকেই৷ জার্মান রাজনীতিকরা এতদিন উদার হাতে সহায়তা দিচ্ছিলেন৷ এবার জনগণ বেঁকে বসলে ভবিষ্যতে তাদের পক্ষে ইউরো এলাকার উদ্ধারে এগিয়ে আসা কঠিন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷ সরকারের শরিক এফডিপি দলের নেতা ও ভাইস চ্যান্সেলর ফিলিপ ব়্যোসলার গ্রিসের ইউরো এলাকা ত্যাগের সম্ভাবনা নিয়ে মন্তব্য করে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েছেন৷

এর মধ্যে গ্রিস'কে নিয়ে দুশ্চিন্তার মাত্রা এক ধাক্কায় বেড়ে গেছে৷ গ্রিসের সরকারের কাঁধে যে বিশাল দায়িত্ব রয়েছে, তা তারা কতটা পালন করছে, তার উপর নির্ভর করছে পরবর্তী কিস্তির আর্থিক সাহায্য তারা পাবে কি না৷ বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী গ্রিস নিয়ম মানছে না, বা মানতে পারছে না৷ এই অবস্থায় মঙ্গলবার আইএমএফ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ইউরোপীয় কমিশনের অডিটার'রা এথেন্স গেছেন৷ তাঁরা যদি রায় দেন যে, গ্রিস নিয়ম অনুযায়ী সব শর্ত মানছে না, তাহলে সাহায্য বন্ধ হয়ে যাবে৷ তাছাড়া তখন গ্রিস দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে৷ সেক্ষেত্রে ইউরো এলাকা থেকে গ্রিসের প্রস্থান আটকানো কঠিন৷ তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়েও দুশ্চিন্তার অভাব নেই৷

তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, ঘটনাটি তেমন নাটকীয় হবে না৷ যেমন বেরেনব্যার্গ ব্যাংকের ক্রিস্টায়ান শুলৎস বললেন, ‘‘ইউরো এলাকার বাকি দেশগুলি গ্রিসকে যে ঋণ দিয়েছে, তার উপর এর সরাসরি প্রভাব পড়বে৷ গ্রিস হয়তো সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না৷ তখন জার্মানিকে সেই ঝুঁকি নিজের কাঁধে নিতে হবে৷ তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, গ্রিসের মোট সরকারি ও বেসরকারি ঋণভার গোটা ইউরো এলাকার মোট জাতীয় উৎপাদনের মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশের মতো৷ অতএব সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতেও ইউরো এলাকার মোট ঋণভারের খুব একটা রকমফের ঘটবে না৷''

বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট বারোসো এথেন্স গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন৷

স্পেনের সংকট কতটা মারাত্মক, সেটাও স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ শুধু ব্যাংকিং ক্ষেত্র নয়, খোদ রাষ্ট্রের বেলআউট'এর প্রয়োজন পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা তীব্র হয়ে উঠছে৷ মঙ্গলবার স্পেন রাষ্ট্রীয় বন্ড বিক্রি করে বাজার থেকে প্রায় ৩০৪ কোটি ইউরো তুলেছে, কিন্তু তা করতে হয়েছে রেকর্ড মাত্রার চড়া সুদের হারে৷ ফলে সেদেশের পক্ষে বাজার থেকে ঋণ গ্রহণ করা ক্রমশ আরও কঠিন হয়ে পড়ছে৷ বন্ড বাজারেও স্পেনের অবস্থার অবনতি ঘটছে৷ আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল বা গ্রিসের মতো ছোট দেশকে বেলআউট দেওয়া ততটা কঠিন নয়৷ কিন্তু স্পেন বা ইটালির এমন প্রয়োজন পড়লে যে পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে হবে, তা দেবার ক্ষমতা এই মুহূর্তে কারই বা আছে?

অগত্যা নজর পড়ছে অগতির গতির দিকে৷ অর্থাৎ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক'কেই আবার পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসতে হবে, চারিদিকে এমন প্রত্যাশা ও চাপ বাড়ছে৷ ইসিবি আসরে না নামলে বাজারকে স্থিতিশীল করা কঠিন হবে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ ইউরো সংকটের শুরু থেকেই ইসিবি পরিস্থিতি সামলাতে বার বার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে৷ ফলে ব্যাংকের প্রতি প্রত্যাশার মাত্রাও এত বেশি৷

এসবি / ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য