1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জি-২০ দাঙ্গার সাথে জড়িত কারা?

৫ ডিসেম্বর ২০১৭

হামবুর্গে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের সময় যে দাঙ্গা হয়, তার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে জার্মানিতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ৷ গত ছ'মাস ধরে বিশেষ কমিশনের অধীনে ছবি ও ভিডিও দেখে দাঙ্গার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করার কাজ চলেছে৷   

https://p.dw.com/p/2omvT
ছবি: picture-alliance/dpa/M.Scholz

মঙ্গলবার থেকে সন্দেহভাজনদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ৷ গত জুলাই মাসেহামবুর্গ শহরে অনুষ্ঠিত জি-টোয়েন্টি সামিটকে কেন্দ্র করে দাঙ্গার সূত্রপাত হয়৷ জার্মানির ডেয়ার স্পিগেল পত্রিকা ও রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা এনডিআর-এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের গোয়েন্দা দল জার্মানির বিভিন্ন শহরে একযোগে অভিযান চালায়৷ এর মধ্যে রয়েছে হামবুর্গ, বার্লিন, হেসে, নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া, বাডেন ভ্যুর্টেমব্যার্গ, সেক্সোনি আনহাল্ট, রাইনল্যান্ড প্যালাটিনেট ও লোয়ার সেক্সোনি অঞ্চল৷ হামবুর্গের বারেনফেল্ড অঞ্চলে তথাকথিত ‘ব্ল্যাক ব্লক' যে দাঙ্গা সৃষ্টি করে, তার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে ১৭০-সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ এক কমিশন গঠন করা হয়৷ গত ছ'মাস ধরে হাজার হাজার ভিডিও ও ছবি দেখে তৈরি করা হয় সন্দেহভাজনদের তালিকা৷ চরম বামপন্থি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী নেতা ডেনিজ এরগ্যুনের নামও এ তালিকায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তবে এবারের অভিযান সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করার লক্ষ্য নিয়েচালানো হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে৷

এর আগে দাঙ্গার সাথে জড়িত থাকার দায়ে ২১ বছর বয়সি এক যুবককে দু'বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত৷ শান্তি ভঙ্গ, সদস্যের উপর চড়াও হওয়া ও গ্রেপ্তার এড়াতে ধস্তাধস্তি করার অভিযোগে তাকে এ কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ এছাড়াও অন্তত দু'হাজার জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷

জুলাইয়ের ৭-৮ তারিখে জার্মানির হামবুর্গে অনুষ্ঠিত জি-টোয়েন্টি সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এ বিক্ষোভ শুরু হয়৷ পুঁজিবাদবিরোধী এবং সামিটে অংশ নেয়া রাষ্ট্রনায়কদের বিরুদ্ধে কট্টর সমালোচক এ সব প্রতিবাদকারীদের সাথে একসময় পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়৷ পাঁচশ'রও বেশি মানুষ এ সময় আহত হয়৷ এছাড়াও অসংখ্য দোকান লুট ও গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা৷

জার্মান ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব মতে, এ দাঙ্গায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২ মিলিয়ন ইউরো৷  হামবুর্গের মতো বহুজাতিক নব্য উদারপন্থি জোটের প্রতি সংশয়বাদী বলে পরিচিত একটি শহরকে এই সম্মেলনের জন্য বেছে নেয়ায় চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়৷ অনেক রাজনীতিবিদ সেসময় হামবুর্গের মেয়র ওলফ শোলৎসের পদত্যাগেরও দাবি তুলেছিলেন৷ অন্যদিকে, শুরু থেকেই ভিনদেশিদের উপর এ দাঙ্গার দায় চাপানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে৷

আরএন/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য