জি-সেভেন-কে ‘নিজের কাজ দেখতে' বলল সিনহুয়া
২৬ মে ২০১৬বিশ্বের সাতটি শিল্পোন্নত দেশ ব্রিটেন, ক্যানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দু'দিনব্যাপি শীর্ষবৈঠকে মিলিত হয়েছে৷ উদ্বোধনী অংশে ছিল জাপানের নিজস্ব শিন্টো বৌদ্ধধর্মের পবিত্রতম মন্দির পরিদর্শন৷ পরে বিশ্বনেতারা শিশুদের সঙ্গে একত্রে একটি বৃক্ষরোপন করেন৷ পরে আমন্ত্রণকারী দেশ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তাঁর ছয় জন মাননীয় অতিথিকে নিয়ে গোলটেবিলে বসেন৷
জি-সেভেন নেতারা সর্বাগ্রে উত্থানশীল অর্থনীতিগুলি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ-এর কিছু তথ্য পেশ করেন আবে, যা অনুযায়ী ২০১৪ সালের জুন মাস থেকে ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্যে সারা বিশ্বে কমোডিটি বা প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের মূল্য হ্রাস পেয়েছে মোট ৫৫ শতাংশ৷ লক্ষণীয় যে, ২০০৮ সালে আর্থিক সংকট শুরু হওয়ার পরের আট মাসে কমোডিটি প্রাইস পড়েছিল ঠিক ঐ ৫৫ শতাংশ৷
সরকারিভাবে জি-সেভেন-এর নির্ঘণ্টে এবার আছে বিশ্ব অর্থনীতি ও নিরাপত্তা৷ কিন্তু নেপথ্যে বিশ্বরাজনীতির নানা স্রোত৷ এক্ষেত্রে সর্বাগ্রে আসছে দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে ঘনায়মান সংঘাত৷ চীনের সঙ্গে জাপানের রাজ্যাঞ্চল ঘটিত সংঘাত পূর্ব চীন সাগরের সেনকাকু বা দিয়াওউ দ্বীপগুলিকে নিয়ে৷ তা সত্ত্বেও সিনহুয়ার অভিযোগ, জাপান একটি ‘গোপন কর্মসূচি' অনুযায়ী ‘দক্ষিণ চীন সাগর প্রসঙ্গে নাক গলানোর চেষ্টা করছে' এবং সেজন্য জি-সেভেন সম্মেলনের অপব্যবহার করছে৷
জি-সেভেন-এর অপর একটি সমস্যা প্রায় কাঠামোগত হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ সেটি হলো, জি-এইট থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়া৷ মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনের প্রভাবশালী সভাপতি ও প্রবীণ জার্মান কূটনীতিক ভল্ফগাং ইশিংগার বলেছেন, রাশিয়াকে জি-সেভেন থেকে বহিষ্কার করা ভুল হয়েছে৷ ‘জি-সেভেন গোষ্ঠীর একার বড় বড় আন্তর্জাতিক সংকটের সমাধান করার ক্ষমতা নেই,' বলেছেন ইশিংগার৷ তিনি মনে করেন, ‘‘ইউক্রেন সংকট কিংবা সিরিয়া সংঘাত, দু'টোর কোনোটাই রাশিয়াকে বাদ দিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়৷'' আবার তাঁর মতে পুটিনকে আবার আমন্ত্রণ জানানোটা হবে ‘বড় ধরনের পরাজয় স্বীকার'৷ রুশ তরফেও ‘অ্যাডভান্টেজটা' অজানা নয়৷
এসি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)