জি২০ সভাপতি হিসাবে ভারতের পথচলা শুরু
১ ডিসেম্বর ২০২২সাতদিন ধরে ভারতের সব ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট-সহ একশটি ঐতিহসিক সৌধ আলোয় সাজানো থাকবে। আর তার মধ্যে দেখা যাবে জি২০-র লোগো। এভাবেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলির ফোরাম জি২০-র সভাপতি পদ পাওয়াকে কুর্নিশ জানাচ্ছে ভারত। আগামী এক বছর এই পদে থাকবে ভারত।
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, ভারত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলবে, নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত নেবে এবং কাজ করে দেখাবে।
ভারতের লক্ষ্য হলো বিশ্বের সামনে আর্থিক মন্দা, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা এক হয়ে মোকাবিলা করা এবং সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ব্যবস্থা নেয়া। বিপর্যয় মোকাবিলা ও যে কোনো পরিবেশে টিকে থাকতে পারে এমন পরিকাঠামো বানানোর উপর জোর দেয়াও হবে ভারতের লক্ষ্য। সেই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে ডিজিটাল ক্ষেত্রে বিভাজন আছে, তাও মেটাতে চায় ভারত।
ভারতে এবার জি২০-র বিভিন্ন স্তরে দুইটি বৈঠক হবে। যার মধ্যে প্রথমটি হবে আগামী সপ্তাহে উদয়পুরে। আগামী বছর সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে জি২০ শীর্ষসম্মেলন হবে।
গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতে জি২০-র লোগো ও থিম প্রকাশ করেছেন। লোগো হলো পদ্ম ও বিশ্ব এবং থিম হলো এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। এই থিমের মধ্যে বসুধৈব কুটুম্বকম বা বিশ্ব একটা পরিবারের ছায়া স্পষ্ট।
জি২০-তে আছে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ক্যানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, সাউথ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিশ্বের জিডিপি-র ৮৫ শতংশ আসে এই সদস্য দেশগুলি থেকে।
জি২০ বৈঠকগুলির দায়িত্বে থাকা অমিতাভ কান্ত সাংবাদিকদের বলেছেন, এই প্রথমবার ভারত বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলির কর্মসূচি ঠিক করবে। এতদিন বিশ্বের উন্নত দেশগুলিই এজেন্ডা তৈরি করত। প্রধানমন্ত্রী মোদী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত প্রতিটি বিষয়ে মতৈক্যের চেষ্টা করবে। কাজটা সহজ নয়। বরং রীতিমতো কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই জি২০-র সভাপতি হিসাবে পথচলা শুরু করছে ভারত।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা ভারতকে সব ধরনের সাহায্য করবে। বর্তমান খাদ্যসংকট দূর করা, এনার্জি ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে বিশ্বের অর্থনীতিকে আরো জোরদার করতে হবে। সেই কাজেই ভারতকে সাহায্য করা হবে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই. এনডিটিভি)