জুম্মাবারে সিরিয়ায় নিহত ৮, ইয়েমেনে ৯
২৮ মে ২০১১সিরিয়ায় দমনপীড়ন
শুক্রবার জুম্মাবারে সিরিয়ার একাধিক শহরে বিক্ষোভকারীদের উপর চড়াও হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা৷ এইদিন হোমস শহরে নিহত হয়েছে তিনজন, দামেস্কে নিহত তিন, লেবাননের সীমান্ত সংলগ্ন শহর জাবাদানিতে একজন এবং ইডলিব শহরে আরো এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়৷ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না বিক্ষোভকারীরা৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, সিরিয়ায় গত দশ সপ্তাহ ধরে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে এক হাজার মানুষ৷ আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও বাশার আল-আসাদ বিক্ষোভ দমনে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছেন৷
ইয়েমেনের পরিস্থিতি
ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহ'র বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া উপজাতীয় যোদ্ধাদের উপর বিমান হামলা চালিয়েছে সরকারি সেনারা৷ সেদেশের রাজধানী সানা'র অদূরে নাহাদ প্রদেশে এই হামলা চালানো হয়েছে৷ বিবিসি জানিয়েছে, বিমান হামলায় অজ্ঞাত সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে৷ বার্তাসংস্থা ডিপিএ'র তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সরকারি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে নয় উপজাতীয় যোদ্ধা৷ গত সোমবার থেকে চলা দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ৮০ জনের বেশি৷ এছাড়া শুক্রবারের প্রার্থনার পর ইয়েমেনের বিভিন্ন শহরে সরকারবিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে৷ তবে, সালেহ সমর্থকরা সরকারের পক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে শুক্রবার৷ এদিকে, অব্যাহত সংঘর্ষের কারণে রাজধানী সানা ছাড়তে শুরু করেছে শহরটির বাসিন্দারা৷ মর্টার হামলা থেকে বাঁচতে বেসমেন্টেও আশ্রয় নিয়েছে অনেকে৷
আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতিক্রিয়া
ফ্রান্সের জি-এইট সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিশ্ব নেতারা সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর দমনপীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে৷ এক ইশতাহারে জি-এইট নেতারা, সিরিয়ার জনগণের গণতন্ত্রের ন্যায্য দাবির প্রতি সাড়া দিতে দামেস্ককে অনুরোধ করেছে৷ এছাড়া, ইয়েমেনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভ দমনে সহিংস পন্থা অবলম্বনেরও নিন্দা জানানো হয়েছে জি-এইট সম্মেলন থেকে৷ একইসঙ্গে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর যে প্রতিশ্রুতি সালেহ দিয়েছিলেন, তা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বানও জানিয়েছেন জি-এইট নেতারা৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন