জেল হত্যা
৪ নভেম্বর ২০১২রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিসুল হক আশা করেন এই বছরেই আপিল শুনানি শেষ হবে৷
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর আটক করা হয় জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে৷ এরপর ৩রা নভেম্বর তাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরে হত্যা করা হয়৷
এই ৪ নেতা হত্যা মামলায় ২০০৪ সালে জেলা দায়রা জজ আদালত ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়৷ আর হাইকোর্ট ২০০৮ সালে শুধুমাত্র মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে৷ মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আর ২ জন আসামি মারফত আলি শাহ এবং আবুল হাসেম মৃধাকে খালাস দেয়া হয়৷ এই পুরো রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ৷ মামলার সারসংক্ষেপ আপিল বিভাগে দাখিলের পর রোববার রাষ্ট্রপক্ষ আপিল শুনানির আবেদন জানায়৷ প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আগামী ১১ই ডিসেম্বর আপিল শুনানির দিন ধার্য করেন৷ যা জানান রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক৷
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, তাদের আপিলের মূল বিষয় হল যে দু'জন আসামি মারফত আলি শাহ এবং আবুল হাসেম মৃধাকে খালাস দেয়া হয়েছে তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা৷ তাদের ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও তারা তা না করে পলাতক আছেন৷
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী এবং অ্যাটর্নি জেনারেল দাবি করেন ২০০৮ সালে হাইকোর্ট প্রভাবিত হয়ে দুই জনের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে তাদের খালাস দেন৷ তারা বলেন স্বাক্ষ্য প্রমাণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৩রা নভেম্বর রাতে মোট ৪ জন লোক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করে জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করে৷ সেখানে বিস্ময়করভাবে মাত্র একজনের ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখা হয়৷