টাইটানিকের চিঠি
১৪ মার্চ ২০১২তিনি তাঁর মাকে ১৯১২ সালের ১১ই এপ্রিল, অর্থাৎ টাইনানিক ডোবার তিন দিন আগে চিঠি লিখেছিলেন৷ সেই চিঠি এবার নিলামে উঠেছে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে৷ মূল্য পঞ্চাশ হাজার ডলার৷
চিঠিটি দুই পাতার৷ তবে এডওয়ার্ড সিম্পসনের নাতির ছেলে জন মার্টিন রবিবার জানিয়েছেন যে, তাঁর পরিবারের সামর্থ্য নেই চিঠিটি এতো মূল্য দিয়ে কেনার৷ কিন্তু তাঁরা চিঠিটি বেলফাস্টে ফিরিয়ে আনতে চান৷ তিনি জানান, ‘‘এমন কাউকে যদি পাওয়া যায় যিনি চিঠিটি কিনে বেলফাস্টে চিঠিটি নিয়ে আসবেন এবং দান করবেন৷ তাহলে আমরা তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো৷ এরপর আমরা চিঠিটি জনসম্মুখে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেব৷ সবাই চিঠিটি দেখবে, পড়বে৷''
কী লেখা ছিল চিঠিতে? কেমন দেখতে চিঠিটি? চিঠিটি লেখা হয়েছিল টাইটনিকের নিজস্ব রাইটিং প্যাডে৷ ওপরে কোনায় লেখা আরএসএস টাইটানিক৷ সিম্পসনের বয়স তখন ৩৭৷ তিনি তাঁর মাকে লিখেছেন যে তাঁর কেবিনটি বেশ বড়৷ এর আগে তিনি টাইটানিকের মতো আরেকটি জাহাজে উঠেছিলেন, যার নাম অলিম্পিক৷ টাইটানিক অনেক বেশি রাজকীয়৷ তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে দুটি ট্রাঙ্ক ছিল, একটি খোলা৷ তিনি বেশ বিরক্ত৷ এবং তাঁর বুক-পকেট থেকে টাকা চুরি হয়েছে৷
এডওয়ার্ড সিম্পসন ছিলেন চিকিৎসক এবং তঁকে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য টইটানিকে ক্রুদের তালিকায় নেয়া হয়েছিল৷ চিঠির শেষে লেখা ছিল, উইথ লাভ জন৷ জনের পক্ষ থেকে ভালবাসা৷
টাইটানিক ছাড়ার আগে তিনি চিঠিটি পোস্ট করেন৷ চিঠিটি কুইন্সটাউনে এসে পৌঁছায়৷ চিঠি লেখার তিনদিন পর সিম্পসন টাইটানিক এবং অন্যান্য ১৫০০ যাত্রীদের সঙ্গে আটলান্টিকের গভীরে চিরতরে হারিয়ে যান৷
আগামী মাসে পালন করা হবে টাইটানিকের হারিয়ে যাওয়ার একশো বছর পূর্তি৷ সেই উপলক্ষ্যে বেলফাস্টে পর্যটকদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে নানা আয়োজনের৷ অনুষ্ঠানের নাম ‘টাইটানিক বেলফাস্ট'৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ