1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প-উন বৈঠক

৯ মার্চ ২০১৮

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চুং ইউই-ইয়ং৷ পরে এক টুইটে ট্রাম্পও বৈঠকের পরিকল্পনা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন৷

https://p.dw.com/p/2u157
Bildkombo Kim Jong Un und Donald Trump
ছবি: picture-alliance/AP/dpa/Wong Maye-E

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষে চুং ইউই-ইয়ং দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান৷

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে চুং ইউই-ইয়ং-এর নেতৃত্বে দক্ষিণ কোরিয়ার ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উত্তর কোরিয়া সফর করেছিল৷ সেই সময় তাঁরা কিম জং-উনের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন৷ বৈঠক শেষে ইউই-ইয়ং বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, যদি তাদের বিরুদ্ধে সামরিক হুমকি দেয়া বন্ধ হয় এবং তারা বিশ্বাসযোগ্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পায় তাহলে তাদের আর পরমাণু অস্ত্র রাখার প্রয়োজন পড়বে না৷

এছাড়া বৈঠকের সময় কিম জং উন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় চুং ইউই-ইয়ং উনের আগ্রহের বিষয়টি ট্রাম্পকে জানালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাতে রাজি হন৷

পরে ডোনাল্ড ট্রাম্পও টুইট করে বৈঠকের পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার সময় পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত নয়, বাতিলের কথা বলেছেন৷ এছাড়া গত কিছুদিনে উত্তর কোরিয়া কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও চালায়নি৷ দারুণ উন্নতি হয়েছে, কিন্তু কোনো চুক্তিতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে৷ বৈঠকের পরিকল্পনা হচ্ছে৷''

উল্লেখ্য, এর আগেও উত্তর কোরিয়ার নেতারা মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ দেখিয়েছিলেন৷ কিন্তু কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাতে রাজি হননি৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানিয়েছেন, কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত ট্রাম্প ‘নিজেই' নিয়েছেন৷ এই বৈঠক আয়োজনে ‘কয়েক সপ্তাহ' লাগতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে এপ্রিলের শেষদিকে দুই কোরিয়ার মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে৷

প্রতিক্রিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন বৈঠকের খবরকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, কোরীয় উপত্যকায় শান্তি আনয়নে এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলস্টোন হয়ে থাকবে৷

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেও ট্রাম্প ও উনের মধ্যে বৈঠকের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তবে বলেছেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পরিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য অঙ্গীকার না পাওয়া পর্যন্ত দেশটির উপর সর্বোচ্চ চাপ বলবৎ রাখবে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র৷

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মনে করছেন দুই নেতার মধ্যে আলোচনা ‘মসৃণ হবে না'৷

কিম জং উনের জয়?

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে বৈঠকের খবরে সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা৷ তাঁরা একে কিম জং উনের জয় হিসেবে দেখছেন৷ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ও বর্তমানে থিংক ট্যাংক ‘ইউরেশিয়া গ্রুপ'-এ কাজ করা ইভান মেদেইরোস বলছেন, ‘‘এটি কিম জং উনকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমতুল্য স্ট্যাটাস দিবে৷ এর মাধ্যমে পরমাণু শক্তি হিসেবে উত্তর কোরিয়ার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি জোরদার হবে৷''

আরেক বিশ্লেষক ‘মিডলবারি ইন্সটিটিউট অফ স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ' এর ‘ইস্ট এশিয়া ননপ্রোলিফারেশন প্রোগ্রাম' এর প্রধান জেফ্রি লুইস বলছেন, ট্রাম্প কিমের সুরে নাচছেন৷ ‘‘এটি একেবারে উত্তর কোরিয়ার নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দ্য কান্ট্রি আই স'-এর সমাপ্তির মতো৷ সেখানে দেখানো হয়েছে, একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়র পরমাণু কর্মসূচিতে আতংকিত হয়ে পিয়ংইয়ং সফরে গেছেন,'' টুইটারে লিখেছেন তিনি৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য