আলোচনার জন্য প্রস্তুত কিম
২৫ মে ২০১৮মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিকল্পিত শীর্ষ বৈঠক থেকে পিছিয়ে এলেও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন অ্যামেরিকার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত৷ শান্তির পক্ষে সদিচ্ছার পরিচয় দিতে উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার একটি পরমাণু পরীক্ষাস্থল অকেজো করে দিয়েছে৷ কিন্তু ট্রাম্প আচমকা শীর্ষ বৈঠক বাতিল করায় পিয়ং ইয়ং সন্তুষ্ট নয়৷ কিম জং উন-এর উদ্দেশ্যে পরিশীলিত ভাষায় লেখা চিঠির উত্তরে উত্তর কোরিয়াও যথেষ্ট সংযম দেখিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷
সে দেশের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম কিয়ে গোয়ান সবার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসা করেন৷ তিনি বলেন, অন্যান্য মার্কিন প্রেসিডেন্টরা যে সাহস দেখাননি, ট্রাম্প সেই চেষ্টা করায় উত্তর কোরিয়া তার যথেষ্ট কদর করেছে৷ এমনকি তথাকথিত ‘ট্রাম্প ফর্মুলা'-র মাধ্যমে দুই পক্ষের সংশয় ও দুশ্চিন্তা দূর করা সম্ভব হবে বলেও তাঁর দেশ আশা করেছিল৷ তবে একইসঙ্গে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে শীর্ষ বৈঠক বাতিল করার সিদ্ধান্ত বিশ্বের ইচ্ছার সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না৷ তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়া যে কোনো সময়ে যে কোনো রূপে অ্যামেরিকার সঙ্গে মুখোমুখি বসে সব সমস্যার সমাধান করতে প্রস্তুত৷ তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে যাবতীয় প্রচেষ্টা চালানোর দায়বদ্ধতাতে আমরা অটল থাকছি৷ খোলা মনে আমরা অ্যামেরিকাকে সেই সময় ও সুযোগ দিতে চাই৷''
পিয়ংইয়ং থেকে এই বিবৃতির পর দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকত্রিকরণ মন্ত্রী চো মিয়াং গিয়ন বলেন, গত মাসে দুই কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের উদ্দেশ্যে যে বোঝাপড়া হয়েছিল, তাঁর দেশ সেই পদক্ষেপ কার্যকর করতে প্রস্তুত৷ সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া যথেষ্ট আন্তরিকভাবে সেই বোঝাপড়া কার্যকর করছে এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ও শান্তির ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে৷ তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-র সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছেন৷
জাপান অবশ্য ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছে৷ সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টারো কোনো বলেন, কোনো সাফল্য ছাড়া শীর্ষ সম্মেলনের অর্থই হয় না৷ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ আলোচনা ও অপহৃত জাপানি নাগরিকদের মুক্তির লক্ষ্যে জাপান অ্যামেরিকার সঙ্গে সহযোগিতা করে যাবে৷
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কিম জং উন-এর ‘ক্রোধ' সম্পর্কে সহানুভূতি প্রকাশ করেছে৷ উল্লেখ্য, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এক সাক্ষাৎকারে বলেন, উত্তর কোরিয়ার লিবিয়ার মতো পরিণতি হতে পারে৷ তার পরেই পিয়ং ইয়ং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়৷ উত্তর কোরিয়া জানায়, সে দেশ অ্যামেরিকার সঙ্গে সংলাপের জন্য ভিক্ষা করবে না অথবা ওয়াশিংটনের অনিচ্ছা সত্ত্বেও আলোচনার জন্য তদ্বির করবে না৷ চীন দুই দেশের উদ্দেশ্যে সংলাপ চালিয়ে যাবার ডাক দিয়েছে৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ)