উত্তর সফরে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি আনতে সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলির কোনো স্পষ্ট ফলাফল এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ দুই কোরিয়ার মধ্যে দু-দুটি শীর্ষ বৈঠক এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন-এর মধ্যে ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠক সত্ত্বেও পরমাণুমুক্ত কোরীয় উপদ্বীপের লক্ষ্যমাত্রা অবাস্তব মনে হচ্ছে৷ এমনই প্রেক্ষাপটে ৩ দিনের সফরে পিয়ং ইয়ং যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন৷ আগামী ১৮ থেকে ২০শে সেপ্টেম্বর তিনি কিম জং উনের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কে আলোচনা করবেন৷ এর আগে এপ্রিল ও মে মাসে দুই দেশের সীমান্তে দুই নেতার সাক্ষাৎ হয়েছিল৷
কিম জং উন আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন সম্পর্কে আশাবাদী৷ তিনি বলেন, দুই কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যেতে হবে৷ বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ ক্ষেত্রে আবার উত্তর কোরিয়ার সদিচ্ছা প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন, কোরীয় উপদ্বীপ থেকে সশস্ত্র সংঘাত ও যুদ্ধের আশঙ্কা সম্পূর্ণ দূর করে ‘শান্তির দোলনা’ সৃষ্টি করাই তাঁর দেশের স্থায়ী লক্ষ্য৷ এমনকি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম কার্যকালের মধ্যেই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের কাজ শেষ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন কিম৷
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চুং ইয়ুই ইয়ং উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের পর বলেন, কিম জং উন মার্কিন প্রশাসনের মূল্যায়নের সঙ্গে একমত নন৷ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে তাঁর দেশ যথেষ্ট উদ্যোগ দেখিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন৷ বিশেষ করে দেশের একমাত্র পরীক্ষার ক্ষেত্র ধ্বংস করে ফেলায় উত্তর কোরিয়ার পক্ষে আর পরমাণু পরীক্ষা করা সম্ভব নয় বলে কিম জানিয়ে দেন৷ আন্তর্জাতিক সমাজ তাঁর এই উদ্যোগকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেন৷
দুই কোরিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে তৃতীয় সংলাপ আশার আলো জাগালেও পিয়ং ইয়ং ও ওয়াশিংটনের শীতল সম্পর্ক নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়ে গেছে৷ গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আচমকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর উত্তর কোরিয়া সফর বাতিল করেন৷ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে অগ্রগতির অভাবের কারণে ট্রাম্প প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার প্রতি কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে৷ কিম চান, তাঁর প্রাথমিক পদক্ষেপের স্বীকৃতি হিসেবে মার্কিন প্রশাসনও কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক৷ অন্যদিকে ওয়াশিংটন ইতিমধ্যেই যথেষ্ট ছাড় দিয়েছে বলে দাবি করছে৷ বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া স্থগিত রেখে উত্তর কোরিয়ার প্রতি আস্থা দেখানো হয়েছে বলে ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে৷ আরো অগ্রগতির আগে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরীয় যুদ্ধের অবসানের ঘোষণা করতে চায় না অ্যামেরিকা৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)
২৭ এপ্রিলের ভিডিওটি দেখুন...