‘স্পেস ওয়াক’ করবেন গেয়ার্স্ট
৩০ মে ২০১৪
প্রায় ৮ ঘণ্টা যাত্রার জন্য সোইয়ুজ মোটেই আরামদায়ক নয়৷ প্রশিক্ষণের সময় ওয়াইজম্যান বলেছিলেন, ‘‘এ যেন তিন জনে মিলে টেলিফোন বুথে আটকে থাকা৷’’ এমন যাত্রার পর আইএসএস-এর ভিতরটা বেশ বড় মনে হয়৷ সেই সঙ্গে ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরে মাধ্যাকর্ষণহীনতার রোমাঞ্চ তো আছেই৷
আইএসএস-এ গেয়ার্স্ট-এর আগে আরও দু’জন জার্মান মহাকাশচারী সময় কাটিয়ে গেছেন৷ নিজে আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ হলেও ১৬৬ দিন ধরে তিনি বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালাবেন এবং কমপক্ষে একবার ‘স্পেস ওয়াক’ করতে বেরোবেন৷ তবে একেবারে প্রথম কাজটি কিন্তু বেশ অভিনব৷ যাত্রার আগে নিজের ইন্টারনেট ব্লগে গেয়ার্স্ট লিখেছিলেন, টয়লেটে প্রস্রাবের আধারটি বদলানো দিয়েই তাঁর কাজ শুরু হবে৷
৩৮ বছর বয়স্ক আলেক্সান্ডার গেয়ার্স্ট-এর মূল কাজগুলির মধ্যে রয়েছে শরীরের ত্বকের বয়স হওয়ার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা৷ ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার একটি পরিবহন যান আইএসএস-এ এলে সেটিকে ‘পার্ক’ করার দায়িত্বও তাঁকে পালন করতে হবে৷ জার্মানির একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠানে শিশুদের প্রশ্নের জবাবও তাঁকে দিতে হবে৷ তিনি নিজেও শৈশব থেকেই মহাকাশে যাবার স্বপ্ন দেখতেন৷
তবে মহাকাশ যাত্রার গুরুত্ব গেয়ার্স্ট-এর কাছে শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়৷ তাঁর মতে, ‘‘আমরা নির্দিষ্ট কিছু দেশের প্রতিনিধি হিসেবে নয়, একটা টিম হিসেবেই যাত্রা শুরু করেছি৷’’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইউক্রেন-সংকটের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে অ্যামেরিকা তথা পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্কে যে চিড় ধরেছে, তা নিয়ে চিন্তিত গেয়ার্স্ট-ও৷ রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, ২০২০ সালের পর সে দেশ আর আইএসএস-প্রকল্পে সহযোগিতা করতে চায় না৷ অথচ সেখানে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে গোটা বিশ্ব এই মুহূর্তে শুধু রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)