সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন
৩১ মার্চ ২০১২ঢাকার দেয়াল আর বিলবোর্ড দেখে মনে হবে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়তো কয়েকদিনের মধ্যেই৷ সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড আর ব্যানারে ছেড়ে গেছে গোটা শহর৷ আদলাতের নির্দেশের পরও সেগুলো তুলে ফেলা হয়নি৷
সাংবিধানিক বাধ্য বাধকতার কারণে আগামী ২৯শে মে'র মধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে ঢাকারই দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন শেষ করতে হবে৷ আর সে জন্য এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়েই নির্বাচন কমিশনকে ঘোষণা করতে হবে তফসিল৷ আর এই হিসেব আছে প্রার্থীদের কাছে৷ তাই তফসিল ঘোষণার আগেই তাদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির৷ কারণ চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের হাওয়ায় তৎপর হয়ে উঠছে কোনো কোনো প্রার্থীর পক্ষে৷ এনিয়ে প্রার্থীদের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগও পাওয়া গেছে৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলছে তফসিল ঘোষণার আগে এ বিষয়গুলো দেখা তাদের কাজ নয়৷ তাই তাদের কোনো পরিকল্পনাও নেই৷ তফসিল ঘোষণার পরই তারা এ বিষয় নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ৷
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, তাঁরাও আশঙ্কা করছেন নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার৷ তাই সন্ত্রাসীরা যাতে তৎপর না হতে পারে এবং অবৈধ অস্ত্র যাতে রাজধানীতে ঢুকতে না পারে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাঁরা আগাম পরিকল্পনা নিয়েছেন৷
আর সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন'এর প্রধান অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ বলেছেন, তফসিলের জন্য অপেক্ষা করলে চলবেনা৷ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগেই যদি অপরাধীরা তৎপর হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিতে হবে৷ তিনি বলেন, শুধু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই চলবেনা, রাজনৈতিক দলগুলো যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে - সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ