পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
২৮ নভেম্বর ২০১২তাজরিন ফ্যাশনস-এর কয়েকজন কর্মকর্তা আগুন লাগার পর নানাভাবে বিভ্রান্ত করেছেন শ্রমিকদের৷ কেউ বলেছেন আগুন লাগেনি, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের মহড়া হচ্ছে৷ কেউ আবার শ্রমিকদের বের হতে না দিয়ে গেট লাগিয়ে দিয়েছেন৷ আর কেউ বন্ধ করে দিয়েছেন বিকল্প সিড়ি৷ ভয়াবহ আগুনের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা এসব অভিযোগ করেন ঘটনার পর থেকেই৷
আর শ্রমিকদের এইসব অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাজরিন ফ্যাশনস-এর তিনজন কর্মকর্তাকে৷ তারা হলেন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল আমিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন এবং স্টোর ইন চার্জ হামিদুল ইসলাম লাবলু৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে৷ ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, তাদের বিরুদ্ধে বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা একই রমক অভিযোগ করেছেন৷ তাই অগ্নিকাণ্ডের সময় তাদের ভূমিকা কি ছিল – তা জানতেই তাদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে৷
কিন্তু তাজরিন ফ্যাশনস-এর মালিক দেলোয়ার হোসেনকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি পুলিশ৷ পুলিশ সুপার অবশ্য দাবি করেছেন যে, তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ না করলেও সরকারের কোনো না কোনো তদন্ত কমিটি তার সঙ্গে কথা বলছে৷ এছাড়া, পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান৷
অন্যদিকে, আশুলিয়ায় আরেকটি পোশাক কারখানায় আগুন লাগানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার সুমি আক্তার ও জাকিরকেও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷ পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান দাবি করেন, তাদের পিছনে নিশ্চয়ই কেউ আছেন৷ তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে বলে তাঁর আশা৷
এদিকে, এখনও আশুলিয়া এলাকায় কান্না থামেনি৷ অনেকই তাঁদের নিখোঁজ আত্মীয়-স্বজনকে খুঁজছেন৷ আর কতজন নিখোঁজ তাও জানানো হচ্ছে না সরকারিভাবে৷ পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র লিয়ন তার মা-বাবা, বোন ও দুলাভাইকে হারিয়েছে৷ লাশ পাওয়া যায়নি৷ শোকার্ত শিশু ক্লান্তিহীনভাবে খুঁজছে স্বজনদের৷