তামিলনাড়ু পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গণ অনশন অব্যাহত
২০ সেপ্টেম্বর ২০১১তামিলনাড়ুর চেন্নাই থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্র উপকূলবর্তী কুড়াইকুলামে নির্মীয়মাণ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সন্নিহিত গ্রামগুলির বাসিন্দাদের জীবন ও জীবিকার ওপর তার যে সম্ভাব্য প্রভাব পড়বে তার বিরুদ্ধে চলেছে লাগাতার প্রতিবাদ ও গণ অনশন৷ শতাধিক ব্যক্তির এই গণ অনশনের আজ দশম দিন৷ এই আন্দোলন ক্রমশই বাড়ছে৷ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা গ্রামবাসীদের আশঙ্কা প্রশমিত করার জন্য কাউকে পাঠাতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করলে ড. মনমোহন সিং তাঁর দপ্তরের মন্ত্রী ভি. নারায়নস্বামীকে আজ পাঠান চেন্নাই-এ৷
সংবাদমাধ্যমকে নারায়নস্বামী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে পাঠিয়েছেন পরমাণু কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে গ্রামবাসীদের আশঙ্কা যে অমূলক সেটা বোঝাতে যাতে তাঁরা এই আন্দোলন তুলে নেন৷ উল্লেখ্য, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে কুড়ানকুলাম পরমাণু কেন্দ্রটি এমনভাবে বানানো হয়েছে যাতে সুনামির ধাক্কা সহ্য করতে পারে৷ দ্বিতীয়ত, কুড়ামকুলাম এলাকাটি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলের মধ্যে পড়েনা৷
অন্য কথা বলেন বিশিষ্ট পরিবেশবাদী সমাজকর্মী মেধা পাটেকর, পরমাণু বিদ্যুৎ গবেষণা ব্যুরোর মূল্যায়নে জল, মাটি, মাছ ও জলজ প্রাণী সম্পদ তথা খাদ্য চেনের ওপর এর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাবের যেকথা বলা হয়েছে সেটা ভুললে চলবেনা৷
জাপানের ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রে দুর্ঘটনার পর ভারতের আণবিক শক্তি বিভাগের পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বর্তমান সুরক্ষা ব্যস্থার অতিরিক্ত আরো কিছু বাড়তি পদক্ষেপ নেয়া হয়৷
১৯৮৮ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-রাশিয়া যৌথ সহযোগিতা চুক্তি অনুযায়ী কুড়ানকুলাম পরমাণু কেন্দ্রে হাজার মেগাওয়াটের দুটি রিয়াক্টর আছে৷ আগামী মাস খানেকের মধ্যে একটি চুল্লিতে উৎপাদন শুরু হবার কথা৷এতে তামিলনাড়ুর বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকাংশে কম হবে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক