1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তিব্বতের প্রতি দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করবো - লোবসাং সাঙ্গয়

৮ আগস্ট ২০১১

এতোদিন তিব্বতের প্রবাসী সরকার প্রধান ছিলেন দলাই লামা৷ আজ থেকে সেই পদে আসীন হলেন লোবসাং সাঙ্গয়৷ দলাই লামা এতোদিন যা করেছেন, যেখানে এসে থেমেছেন, সেখান থকেই বাকি কাজ বুঝে নেবেন সাঙ্গয়৷

https://p.dw.com/p/12D09
FILE- In this March 20, 2011 file photo, Tibetan prime ministerial candiadate Lobsang Sengey, gestures as he talks to the Associated Press in the backdrop of a Tibetan flag in Dharmsala, India. Legal expert Sangay has won the election to become head of the Tibetan government-in-exile, taking over the Dalai Lama's political role.(AP Photo/Ashwini Bhatia, File)
লোবসাং সাঙ্গয়ছবি: AP

‘‘তরুণ প্রজন্ম তাদের দায়িত্ব বুঝে নেবো৷ যেই কাজ প্রবীণরা শুরু করেছেন – সেই কাজ সম্পন্ন করবো৷ আমরা আমাদের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবো৷ যতোদিন লাগে লাগুক – তাতে কিছু এসে যায় না৷ এটাই আমার বার্তা, এটাই আমার লক্ষ্য৷''

কথাগুলো বলেন ৪৩ বছর বয়সী হার্ভাড পড়ুয়া অত্যন্ত সুসংস্কৃত এবং মার্জিত লোবসাং সাঙ্গয়৷ তাঁর জন্ম দার্জিলিং-এ৷ তিনি একজন তিব্বতি শরণার্থী৷ আজ স্থানীয় সময় সকাল ন'টা বেজে নয় মিনিট এবং নয় সেকেন্ডে তিনি তাঁর দায়িত্ব বুঝে নেন, গ্রহণ করেন শপথ৷ দায়িত্ব গ্রহণ করেন ‘কালোন ত্রিপা'র৷ হন নতুন দলাই লামা৷ শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান হয় ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায়৷ শপথ গ্রহণের পর তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি, কোনো ধরণের সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের সাহায্য না নিয়েই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো৷ আমরা আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করতে চাই৷ আমরা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে যাবো, সবার সঙ্গে কথা বলবো, সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবো৷ আর এভাবেই আমরা আমাদের উদ্দেশ্য সাধন করবো৷ তিব্বতের ভেতরে এবং বাইরে একতা আমাদের আরো শক্তিশালি করবে৷''

Lobsang Sangay, left, the new prime minister of Tibet's government in exile, is greeted by Tibetan spiritual leader the Dalai Lama during his swearing-in ceremony at the Tsuglakhang Temple in Dharmsala, India, Monday, Aug. 8, 2011. (Foto:Ashwini Bhatia/AP/dapd)
ছবি: dapd

তবে যতো সহজে কথাগুলো সাঙ্গয় বললেন, ততো সহজে সবকিছু করা সম্ভব নয়৷ সারা বিশ্বে তিব্বতের অনেক গুণগ্রাহী এবং সমর্থক থাকলেও, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন চীন সরকার কি লোবসাং সাঙ্গয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী হবে? তাঁকে কি এতো সহজে গ্রহণ করবে চীন? এ বিষয়ে লোবসাং সাঙ্গয়ের মনেও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে৷ সাঙ্গয় বলেন, ‘‘চীন এতোদিন তিব্বতের প্রবাসী সরকারকে উপেক্ষা করেছে৷ কিন্তু আমরা এও বলছি না যে, প্রবাসী সরকারকে মেনে নিতে হবে, অনুমোদন করতে হবে চীনকে৷ আমরা চাই তিব্বতকে স্বাধীন করে দিক চীন, মুক্ত করে দিক তাদের বাঁধন থেকে৷''

সাবেক দলাই লামার সঙ্গে চীনা সরকার বেশ কয়েক বার আলোচনার টেবিলে বসেছিলন৷ তবে সাঙ্গয় এখনও পর্যন্ত চীনা সরকারের সঙ্গে কোনো ধরণের আলাপ-আলোচনায় বসেননি৷ সাঙ্গয় কয়েক বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন৷ তবে তারপরও তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘২০০৫ সালে আমি বেজিং সরকারকে প্রশ্ন করেছিলাম, তিব্বতের রাজধানি লাসায় আমি ভ্রমণে যেতে পারবো কিনা৷ কর্তৃপক্ষের উত্তর ছিল, এ ধরণের ভ্রমণের আয়োজন করতে যতো মানুষের প্রয়োজন – ততো লোক এই মুহূর্তে আমাদের হাতে নেই৷ অথচ দেশটিতে একশো কোটি মানুষের বসবাস৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ