তুরস্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
২১ জুলাই ২০১৬জরুরি অবস্থা ঘোষনা করা হলেও স্বাভাবিক জনজীবন ব্যহত হবে না বলে জানিয়েছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী মেহমেদ সিমসেক৷ বরং এটি গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে৷ টুইটারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি৷ জরুরি অবস্থা চলাকালীন কোন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে না বলেও জানান তিনি৷ অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান জানিয়েছেন, তুরস্কের সংবিধান মেনেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷
অস্ট্রিয়ায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে সমন
এদিকে, তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার পর অস্ট্রিয়ার রাস্তায় এর্দোয়ান সমর্থকরা কেন সমাবেশ করছে- এর কারণ ব্যাখ্যা করতে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছিল অস্ট্রিয়া কর্তৃপক্ষ৷ তুরস্ক থেকেই ভিয়েনায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠানের ডাক দেয়া হয়েছে বলে তথ্য আছে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ার পরররাষ্ট্র মন্ত্রী সেবাস্টিয়ান কুর্জ৷
১৫ জুলাই রাতে তুর্কি সামরিক বাহিনীর একটি অংশ ক্ষমতা থেকে এর্দোয়ানকে উৎখাতের চেষ্টায় বিদ্রোহ করে৷ কিন্তু সামরিক বাহিনীর সব অংশ একইভাবে সাড়া না দেওয়া এবং পাশাপাশি এর্দোয়ান ও তার সহকর্মীরা দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কারণে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়৷
রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার রাজধানী আঙ্কারার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ঘোষণায় এর্দোয়ান জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা জানান৷
জরুরি অবস্থা ঘোষণার আগে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি৷ ঘোষণায় এর্দোয়ান বলেন, ‘‘জরুরি অবস্থা ঘোষণার লক্ষ্য হলো, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে হুমকি মোকাবিলায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করা৷''
তিন মাসের এই জরুরি অবস্থাকালে ‘সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে থাকা সকল ভাইরাস পরিষ্কার করার' প্রত্যয় জানান তিনি৷ ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার হাজার হাজার ব্যক্তির আটকাদেশ দীর্ঘায়িত করতেও জরুরি অবস্থার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন এর্দোয়ান৷
এর্দোয়ানের দাবি, ‘‘এই পদক্ষেপ কোনোভাবেই গণতন্ত্র, আইন ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নয়৷'' অভ্যুত্থান চেষ্টার প্রতিক্রিয়ায় এরই মধ্যে ৬০০টি স্কুল বন্ধ ও হাজার হাজার রাষ্ট্রীয় কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে৷ গত শুক্রবার থেকে তুরস্কে এ পর্যন্ত ২৯৫ মানুষ নিহত হয়েছে৷
এপিবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)