1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবাদিকরা কালো তালিকাভুক্ত!

১৩ জুলাই ২০১৭

হামবুর্গে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অন্তত ৩২ জন সাংবাদিককে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই কালো তালিকাভুক্ত করে পুলিশ৷ সম্মেলনে তাঁদের অ্যাক্রেডিটেশনও বাজেয়াপ্ত করা হয়৷ এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে জার্মানিতে৷

https://p.dw.com/p/2gS7q
Deutschland G20 Medien | Fotograf
ছবি: picture alliance/Geisler-Fotopress/G. Hardt

গত সপ্তাহান্তে যেসব সাংবাদিকের জি-টোয়েন্টি অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল করা হয়, তাঁদের মধ্যে অন্তত চারজন অতীতে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কুর্দি এলাকায় কাজ করেছেন৷ সন্দেহ করা হচ্ছে, তুর্কি সরকারের চাপেই জার্মান কর্তৃপক্ষ সেসব সাংবাদিকের জি-টোয়েন্টি সম্মেলন কাভার করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে৷

জার্মানির সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এআরডি এবং স্যুডডয়েচে সাইটুং পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জি-টোয়েন্টি সম্মেলন শুরুর পর হঠাৎ করে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই আলোচিত সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল করা হয়৷ বাতিল করার আগ অবধি তাঁদের কেউ কেউ একাধিকবার সম্মেলন কেন্দ্রের নিরাপত্তা বলয়ে প্রবেশ করেছেন এবং বের হয়েছেন৷

জার্মানির জনপ্রিয় পত্রিকা ডেয়ার স্পিগেল-এর আলোকচিত্রী ক্রিস গ্রোডৎস্কি ডয়চে ভেলেকে জানান, তিনি স্বাভাবিক উপায়ে বুধবার তাঁর অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড সংগ্রহ করেন৷ কিন্তু শনিবার সম্মেলন কেন্দ্রে পুনরায় প্রবেশ করতে চাইলে তিনি পুলিশের বাধার মুখে পড়েন৷ পুলিশ সদস্যদের হাতে সাংবাদিকদের নামের দুই পাতার একটি তালিকা ছিল উল্লেখ করে তিনি জানান যে, তাঁকে আর সম্মেলন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি৷ সাংবাদিকদের এই তালিকা জার্মানির কেন্দ্রীয় ক্রিমিনাল পুলিশ অফিস বা বিকেএ পুলিশকে সরবরাহ করেছে বলেও জানান গ্রোডৎস্কি৷

তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে যাওয়া সব সাংবাদিককেই চেক করছিল৷ তাঁরা আমাকে জানায় যে, আমি ভেতরে যেতে পারবো না৷ আমাকে তখন একটি চারদিক ঘেরা তাঁবুতে বসতে বলা হয়৷ কিছুক্ষণ পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে আমাকে অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল হওয়ার কথা জানায়৷ তবে কী কারণে সেটা বাতিল হয়েছে তা বলতে পারেনি৷ আর আমাকে কোনোরকম জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি৷''

জার্মান সরকার অবশ্য তথ্য সুরক্ষা নীতির দোহাই দিয়ে কালো তালিকাভুক্ত সাংবাদিকদের তালিকা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেনি৷ তবে গ্রোডৎস্কি জানান যে, সেসময় তিনি তালিকা দেখেছিলেন এবং ৩২ জনের নাম থাকার বিষয়টি সঠিকই মনে হচ্ছে তাঁর কাছে৷

এদিকে, জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে প্রবেশ করতে না দেয়া অন্তত নয় জন সাংবাদিককে বিকেএ আনুষ্ঠানিক এক চিঠিতে জানিয়েছে যে, সম্মেলনে অংশ নেয়া বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ জানা গেছে, সম্মেলনে প্রবেশ করতে না দেয়া নয় সাংবাদিকের অধিকাংশই জার্মান৷

স্যুডডয়েচে সাইটুং পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই নয় সাংবাদিকের মধ্যে চারজন অতীতে তুরস্কের কুর্দি এলাকায় কাজ করেছেন৷ তবে জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টেফেন জাইবার্ট জানিয়েছেন, বিদেশি কোনো কর্তৃপক্ষ নয়, জার্মানির বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে পরামর্শের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল করা হয়৷

সাংবাদিকদের তালিকাভুক্ত করার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক থাকার বিষয়টি আরো এক কারণে আলোচনায় আসছে৷ গ্রোডৎস্কি এবং তাঁর সঙ্গে থাকা আরেক সাংবাদিক ২০১৪ সালে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের কোবানিতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন৷ দেখা যাচ্ছে, তাঁদের দু'জনের নিবন্ধনই বাতিল করেছে পুলিশ৷ আরো এক জার্মান সাংবাদিক, যিনি অতীতে তুরস্কে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তাঁর নামও পুলিশের তালিকায় যোগ হয়৷ এছাড়া এক তুর্কি সাংবাদিকও সম্মেলনে নিষিদ্ধ হন৷ ফলে তুরস্কের পরামর্শে ৩২ সাংবাদিককে জি-টোয়েন্টিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ ঘুরপাক খাচ্ছে৷

বেন নাইট/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য