1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রাণের তালিকা এখনো তৈরি হয়নি: ইনু

১৭ এপ্রিল ২০২০

করোনা সংকটে দিশেহারা এ সময়ে ‍মানুষ ও অর্থনীতি বাঁচাতে বাংলাদেশ সরকার ত্রাণ এবং নানা আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করছে। কিন্তু ত্রাণের বেশির ভাগই অসহায় মানুষের হাতে পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

https://p.dw.com/p/3b5AC
ছবি: DW

গত কয়েক দিনে দেশে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবরের পাশপাশি অন্য যে খরবটি জনমনে ক্ষোভ ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে; সেটা হলো, ত্রাণ চুরি।

অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকার যাদের উপর ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব দিয়েছেন, তারাই করছেন চুরি। অন্য দিকে অনাহারে থাকা মানুষ ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন

এ নিয়ে ডয়চে ভেলে বাংলার ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' অনুষ্ঠানে কথা বলেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (বীরপ্রতীক)৷

ত্রাণ চুরির বিষয়টি স্বীকার করে জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, "গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক ও কয়েকজন নিম্ন পর্যায়ের নেতা ত্রাণ চুরির সঙ্গে জড়িত। এখানে রাখঢাকের কিছু নেই। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।”

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সামর্থ্য ও দক্ষতার কমতি আছে স্বীকার করে ইনু আরো বলেন, বিশ্বের কোনো দেশই এই মহামারি মোকাবেলায় শতভাগ প্রস্তুত ছিল না। স্বীকার করছি, আমাদের এখানে সমন্বয়হীনতাও ছিল।

প্রবাসীদের দেশে ফেরার বিষয়টি আরেকটু আগে এবং শক্ত হাতে সমন্বয় করলে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইনু বলেন, "উহান থেকে আসা প্রবাসীদের যেভাবে রাখা হয়েছিল, ইটালি থেকে আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। তাছাড়া কেন এরকম সময়ে পাঁচ লাখ বাংলাদেশিকে দেশে ঢুকতে দেওয়া হলো সেটাও বুঝতে পারছি না। ইউরোপ বা মধ্যপ্রাচ্যে তারা পানিতে পড়ে ছিল না। সীমান্ত বন্ধ করা জরুরি কাজ ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি, এখানে আমাদের গাফিলতি হয়েছে।”

সরকারের উদ্যোগ নিয়ে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, "দেশের এই সংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ ‍হাসিনা উদ্যোগ নিতে কৃপণতা করেননি। কিন্তু সরকার ব্যবস্থার ‍বাকিরা কোথায়? সবাই মিলে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ সংকট মোকাবেলা করতে হবে। দেশে এই সমন্বয়ই নেই।”

ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ থেকে চালানো এক জরিপে ‘ত্রাণ বিতরণে সরকারের সাফল্য দেখতে পাচ্ছেন কি?'' প্রশ্নে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ ‘হ্যাঁ' তে ভোট দেন। বাকি ৯৬ শতাংশ ভোট ‘না' তে পড়ে।

এ প্রসঙ্গে ইনু বলেন, "যেই পর্যায়ে ত্রাণ দিতে হবে, সেই পর্যায়ের তালিকা এখনো তৈরি হয়নি। পুরানো তালিকা ধরে কিছু ত্রাণ গিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ত্রাণের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেই তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুত হলে সেই অনুযায়ী ত্রাণ দেওয়া হবে।”

মুহাম্মদ ইব্রাহিম ডয়চে ভেলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশের এই দুর্যোগে সাবেক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সেনাসদস্য, পুলিশ, আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সব অবসরপ্রাপ্ত সদস্যের কাজে লাগানোর প্রস্তাব দেন। তার এ প্রস্তাব সঠিক বলে মনে করেন ইনু।

এসএনএল/এসিবি