1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজদক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়া : দুর্ঘটনা এড়াতে বিমানবন্দরে আসছে পরিবর্তন

২২ জানুয়ারি ২০২৫

গত মাসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দর থেকে কংক্রিটের বাঁধ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে৷ সেই বাঁধের ঢালের কারণেই দুর্ঘটনায় বেশি মানুষ মারা যান বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/4pTTQ
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে জেজু বিমান দুর্ঘটনা
জেজু বিমান দুর্ঘটনাটি ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা (ফাইল ছবি: ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪)ছবি: Kim Hong-Ji/REUTERS

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, গতমাসের জেজু এয়ার বিমান দুর্ঘটনার কারণে সৌলের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কংক্রিটের বাঁধ সরিয়ে ফেলবেন তারা৷ তদন্তকারীরা এখনো সেই দুর্ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করছেন৷ সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে পাখি এসে পড়ার বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে৷

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রানওয়ের শেষে থাকা বিশালাকার কংক্রিটের বাঁধ ও তার পাশের ঢাল, যেখানে ন্যাভিগেশন অ্যান্টেনা লাগানো ছিল, তার কারণেই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরো বেড়েছে৷

যেভাবে সমাধানের কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ

দুর্ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ জানায় যে, মুয়ানসহ মোট সাতটি বিমানবন্দরে নতুন করে অ্যান্টেনা বসানো হবে৷ এই প্রস্তাবটি দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর জেজু বিমানবন্দরের জন্যেও প্রযোজ্য হবে৷

মাটির স্তরের চেয়ে কিছুটা নিচু তলে ও কংক্রিটের বদলে সহজে ভেঙে যায়, এমন কিছুর ওপর বসানো হবে অ্যান্টেনা৷ এই অ্যান্টেনাগুলি বিমানবন্দরে বিমানকে নামতে সাহায্য করা ‘ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেমস' বা আইএলএস ব্যবস্থার ‘লোকালাইজার' হিসাবে কাজ করবে৷

গত ২৯ ডিসেম্বরের এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৭৯ জন, প্রাণে বেঁচে যান বিমানের একদম পেছনে থাকা দুজন ক্রু সদস্য৷ সেদিনের ভিডিওতে দেখা যায় কীভাবে বিমানটি প্রবল গতিতে গিয়ার ছাড়া ল্যান্ড করার সময় ফেটে যায়, কংক্রিটের সাথে ধাক্কা খায় ও তারপর রানওয়েতে পিছলে যায়৷

এসএস/এসিবি (রয়টার্স)