দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২ম্যানহাটন উদ্যানের এই সংগীত আসরে ছুটে এসেছিলেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ৷ কিন্তু আগে যেমন বিশ্বের গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে এমন সংগীত আসরের জন্য টিকেট বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে, এবারের আয়োজন ঠিক তেমন ছিল না৷ শনিবারের কনসার্ট-এর জন্য কোন প্রদর্শনী কিংবা প্রবেশ মূল্য নেওয়া হয়নি৷ অর্থের চেয়ে বরং এই সংগীত আসরের মূল লক্ষ্য ছিল মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা৷
তাই এই সংগীত আসরে প্রবেশের জন্য আগ্রহীদের গ্লোবালসিটিজেন ডট ওআরজি শিরোনামের ওয়েবসাইটে থাকা ভিডিও দেখার মধ্য দিয়ে নির্ধারিত পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হয়েছে৷ এই ভিডিও চিত্রগুলোতে দেখানো হয়েছে ম্যালেরিয়ায় ভুগে মৃত্যু থেকে সন্তান প্রসবকালে নারীদের মারা যাওয়াসহ চরম দারিদ্র্যের নানা দৃশ্য৷ এছাড়া দারিদ্র্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য টুইটার ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে অন্যদের কাছে পাঠানোর জন্যও নির্ধারিত পয়েন্ট অর্জনের সুযোগ ছিল৷ এভাবে এই সংগীত আসর উপভোগ করার জন্য নির্ধারিত পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হয়েছে সংগীতপ্রেমী সুখী মানুষগুলোকে৷
জিপিপি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই পন্থায় সংগীত আসর আয়োজনের মধ্য দিয়ে তারা ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন৷ ত্রাণ সংস্থা এবং দাতা গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে তারা চলতি বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন৷ তাদের অনেকে সংগীত আসর চলার সময় মঞ্চে উঠে মোটা অঙ্কের অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন৷
এছাড়া এই সংগীত আসরে পরিবেশিত গানগুলোর মধ্যেও ছিল দারিদ্র্য দূর করতে প্রয়োজনীয় সচেতনতামূলক ও উৎসাহব্যঞ্জক বার্তা৷ ফলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের সমাপ্তি লগ্নে এমন একটি সংগীত আসরের আয়োজন বেশ সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন জিপিপি-র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাগ ইভান্স৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা আসলে এভাবে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে চাই৷ এটা শুধুমাত্র একটি সংগীত আসরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না৷''
এএইচ / এআই (এএফপি)