বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা
৩ অক্টোবর ২০১২হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের যুগ্ম আহ্বায়ক সুশীল বড়ুয়া শনিবার রাতে শুরু হয়ে রোববার রাত পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় চলা হামলা সম্পর্কে বলেন, ‘‘এ ঘটনায় মৌলবাদী গোষ্ঠীর ইন্ধন রয়েছে, সরকারেরও ইন্ধন রয়েছে৷'' সরকারের ইন্ধন বলতে মূলত কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধমন্দির এবং বসতির ওপর হামলার পর পটিয়া, উখিয়া, নাইখংছড়ি এবং মহেষখালীতও একই ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও কোথাও কোনো শক্ত ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে নিদারুণ ব্যর্থতার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন৷ এক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে তো প্রশ্ন তুলেছেনই, সঙ্গে ‘‘জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরাতে সরকার সাম্প্রদায়িক সহিংশতা প্রশাসনিকভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে'' - এমন অভিযোগও তুলেছেন তিনি৷
সুশীল বড়ুয়া মনে করেন, সরকার আন্তরিক এবং তাড়াতাড়ি সক্রিয় হলে দু'দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটতো না৷ সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি ছিল তাঁদের - এ কথা জানিয়ে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ‘‘এরই সুযোগ নিয়েছে মৌলবাদী শক্তি, রোহিঙ্গা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী৷'' হামলায় সরাসরি যারাই জড়িত থাকুক, তাদের প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে পরিষ্কার ব্যর্থতাটাকে আড়াল করে সরকার সব দায় ‘‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে'' বলেও ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন সুশীল বড়ুয়া৷
সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন, প্রতিবেদন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ