দিল্লি ধর্ষণকাণ্ড
১ সেপ্টেম্বর ২০১৩নানা কারণে রায় দান স্থগিত রাখতে হয় চারবার৷ কিছুদিন আগে মুম্বই মহানগরীতে একটি পরিত্যক্ত কারখানার ভেতরে গণধর্ষিতা হন এক চিত্র সাংবাদিক তরুণী৷ প্রশ্ন উঠেছে, ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট গঠন করেও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক দ্রুত শাস্তি দেয়া হচ্ছেনা কেন?
গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত অপর পাঁচজনের মধ্যে একজন জেলের ভেতরেই আত্মহত্যা করে, আর অপর চারজনের বিচার প্রক্রিয়া চলেছে ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে৷ আসামির নাবালকত্ব নিয়ে একটা বিতর্ক ছিল৷ বলা হয়, সাবালকত্বের বয়স যদি ১৮ বছর ধরা হয়, তাহলে ধর্ষণের সময় ৬ মাস মাত্র কম ছিল ধর্ষকের৷ মানসিক বিচার বুদ্ধির দিক থেকে এই অপরাধের গুরুত্ব বুঝেই সে ঐ কাজ করেছে, কাজেই সেদিক থেকে তাঁর শাস্তি আরো কঠোর হওয়া উচিত ছিল৷ বর্তমান ফৌজদারি আইনে নাবালকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা এটাই৷
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ই ডিসেম্বর রাতে দিল্লির একটি চলন্ত বাসে ২৩ বছরের এক প্যারা-মেডিক্যাল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বাসের চালক, কণ্ডাক্টর ও ক্লিনারসহ ছয়জন৷ অপরাধের পর তরুণীকে বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়৷ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শেষে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরে৷ সেখানে ২৯শে ডিসেম্বর তরুণীর মৃত্যু হয়৷ ধর্ষণের আগে ঐ বাসের আরেক যাত্রী, যিনি পেশায় কার্পেন্টার, তাকেও ধাক্কা মেরে বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়৷ ফেলে দেয়া হয় তরুণীর এক পুরুষ বন্ধুকেও৷
দিল্লি গণধর্ষণের ঘটনায় দেশের সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তার প্রেক্ষিতে সরকার সংসদে নতুন বিল পাস করে ধর্ষণের শাস্তি কঠোর করা হয়৷ তারমধ্যে ফাঁসিও আছে৷ ফাস্ট-ট্যাক-কোর্টে বিচারাধীন চারজনের রায় বের হতে পারে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি৷