দিল্লি পুরসভায় কেজরিওয়ালের আপ
৭ ডিসেম্বর ২০২২দিল্লি পুরসভায় ক্ষমতায় এলো আপ। ১৫ বছর পর দিল্লি পুরসভা বিজেপি-র হাতের বাইরে চলে গেল।
দিল্লি পুরসভার ২৫০টি আসনের মধ্যে আপ ১৩৪টি আসনে এবং বিজেপি ১০৪টি আসনে জিততে চলেছে। রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস এগিয়ে নয়টি আসনে।
১২৬টি আসন জিতলে পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া যাবে। আপ ইতিমধ্যে ১৩৪টি আসনে এগিয়ে আছে। তবে সকাল থেকে এই এগিয়ে-পিছিয়ে থাকার হিসাব সমানে ওঠানামা করেছে। একবার বিজেপি এগিয়েছে, একবার আপ। তবে বেলা এগারোটার পর থেকে আপ এগোতে থাকে। তারপর তারা পুরসভা দখলে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় আসন পেয়ে যায়। ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে যায়, পুরসভায় ১৫ বছরের বিজেপি শাসন শেষ হচ্ছে এবং শুরু হচ্ছে আপের শাসন। ভালো লড়েও দিল্লি পুরভোটে বিজেপি ধাক্কা খেয়েছে। শেষ হাসি আপ-ই হেসেছে।
বিজেপি-র আসনসংখ্যা ৬৫টির মতো বেশি কমেছে। কমছে কংগ্রেসের আসনসংখ্যাও। গতবারের তুলনায় ১৭-১৮টি আসন হারাতে চলেছে কংগ্রেস। আর আপের আসন প্রায় ৯০টির মতো বেড়েছে।
এই ফলাফল থেকে বোঝা যাচ্ছে, দিল্লি এখনো কেজরিওয়ালকে চায়। বিজেপি রাজধানীতে অন্তত তার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না। কেজরিওয়াল এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশল নিয়ে বলেছিলেন, পুরসভার সব ওয়ার্ডে তিনিই লড়ছেন। প্রতিটি জনসভায় লেখা থাকতো, কেজরিওয়ালের প্রতিনিধিকে ভোট দিন। কেজরিওয়ালের জনসমর্থনের জোরেই আপ পুরসভাতেও জিততে পেরেছে।
বিজেপি-র কৃতিত্ব হলো, তারা পুর নির্বাচনে রীতিমতো ভালো লড়েছে। বহু আসনে খুব কম ভোটের ব্যবধানে জয়-পরাজয়ের নিষ্পত্তি হয়েছে। বাঙালিপ্রধান চিত্তরঞ্জন পার্কে যেমন মাত্র ৪৮ ভোটে জিতেছেন আপের প্রার্থী। কিন্তু শেষপর্যন্ত নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তাও দিল্লিতে বিজেপি-কে জেতাতে পারেনি।
কেজরিওয়ালের বক্তব্য
পুরসভায় আপের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরই দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে আপ-এর সদর দপ্তরে কেজরিওয়াল বলেন, দিল্লির মানুষ এবার তাদের আবর্জনা সরানোর দায়িত্ব দিয়েছেন, পুরসভার স্কুলের মান বাড়ানোর দায়িত্ব দিয়েছেন, পুর প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করার ভার দিয়েছেন, তারা সেটা করে দেখাবেন। আর এই কাজে সাহায্য করার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেছেন, বৃহস্পতিবার গুজরাটে খুবই ভালো ফল করে অনেক হিসাব উল্টে দেবে আপ।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)