আন্নার মন্ত্রশিষ্য কেজরিয়ালের রাজনীতিতে প্রবেশ
২ অক্টোবর ২০১২মঙ্গলবার মহাত্মা গান্ধীর ১৪৩তম জন্ম বার্ষিকীতে দুর্নীতি বিরোধী আন্না হাজারের মন্ত্রশিষ্য অরবিন্দ কেজরিয়াল রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন আনুষ্ঠানিকভাবে৷ আন্নার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হবার ১২ দিনের মাথায়৷
আজ দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে তিনি দলের নীতি, আদর্শ, কর্মসূচি এবং গঠনতন্ত্র সংক্রান্ত ‘ভিশন ডক্যুমেন্ট' প্রকাশ করেন৷ তাতে ব্যক্ত করা হয়, সদস্য ও প্রার্থী নির্বাচন, জন লোকপাল বিলের প্রতি দায়বদ্ধতা, দলীয় কাজকর্মের দিকে নজর রাখতে অভ্যন্তরীণ লোকপাল নিয়োগ ইত্যাদি বিষয়৷ দলের নাম এখনও ঠিক হয়নি৷ হবে আগামী মাসে৷
কেজরিয়াল বলেন, দল গঠনের উদ্দেশ্য দেশের রাজনৈতিক কাঠামোয় পরিবর্তন আনা৷ এটা ঠিক রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক বিপ্লব৷ তাঁর সহযোগী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় সরকার পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে আমজনতার বুকের ওপর বসে রাজত্ব করেন, নীতি তৈরি করেন, সিদ্ধান্ত নেন৷ এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচনে ঐসব ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করা দরকার৷ এমন লোকেদের সংসদে পাঠাতে হবে যাঁরা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে পারেন৷
বিজেপি'র মতে, ভারতের সংবিধানে দল গঠনের অধিকার সবাইকেই দেয়া হয়েছে৷ চাইলে যে কেউ ভোটে লড়তে পারে৷ কাজেই এতে কারোর আপত্তি থাকার কথা নয়৷
উল্লেখ্য ভিশন ডক্যুমেন্টে দলিত, অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ, মুসলিম সম্প্রদায়কে সন্দেহ, বঞ্চনা ও অনগ্রসরতার বেড়াজাল থেকে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সমানাধিকারের মাধ্যমে মুক্ত করার কথা বলা হয়৷ দলের কোনো সাংসদ ও বিধায়ক সরকারি বাংলো ও দেহরক্ষী নেবে না৷ দলের টাকা-পয়সার হিসেব ওয়েবসাইটে দেয়া হবে স্বচ্ছতা রাখতে৷
এর আগে কেজরিয়াল দেখা করেন গুরু আন্নার সঙ্গে দিল্লিতে৷ আন্না রাজনৈতিক দল গঠনের বিরোধী৷ পরে কেজরিয়াল বলেন, তাঁদের পথ আলাদা হলেও, লক্ষ্য এক৷ তাঁর লড়াইও দুর্নীতির বিরুদ্ধে৷
এদিকে আজ জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৪৩তম জন্ম জয়ন্তীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ, এল.কে আডবানি প্রমুখ৷ এই উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের৷ এই দিনটি সারা বিশ্বে পালিত হয় আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে৷ গান্ধীজির জীবনাদর্শ হলো, ‘আমরা যদি সবাই সবাইকে ভালোবাসি, পরস্পরের হাত ধরে চলি, তাহলে পৃথিবীটা বদলে যেতে বাধ্য৷'
প্রতিবেদন: অনিল চটোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ