1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে ‘দেখে নেয়ার রাজনীতি'

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৬ জানুয়ারি ২০১৫

অবরোধ আর গ্রেপ্তার অভিযানে অস্থির হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ৷ ৫ই জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে চলছে দেখে নেয়ার রাজনীতি৷ বিএনপি-জামায়াত জোটকে দমনে প্রশাসিন ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করছে সরকার৷ আর টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি৷

https://p.dw.com/p/1EFh8
Fakhrul Islam Alamgir Bangladesch 6.1.2015
ছবি: Getty Images/AFP/Strdel

একতরফা নির্বাচনের প্রথম বছরপূর্তি, অর্থাৎ ৫ই জানুয়ারি থেকে দেশ আবারো সংঘাতময় রাজনীতির দিকে যাচ্ছে৷ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া শনিবার রাত থেকে ‘অবরুদ্ধ' আছেন তাঁর গুলশানের কার্যালয়ে৷ সোমাবার দুপুরের পর থেকে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান নিয়েও শেষ পর্যন্ত রেহাই পাননি বিএনপির ভারপ্রপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ মঙ্গলবার বিকেলে প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার পথে তাঁকে গাড়িসহ আটক করে গোয়েন্দা সদর দপ্তরে নিয়ে গেছে পুলিশ৷

এর আগে শনিবার রাতে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে তুলে নিয়ে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে পাহারা বসিয়েছে৷ গত কয়েকদিনে ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির আন্তত পাঁচশ' নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে৷ ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রায় সবাই এখন আত্মগোপনে৷

দু'দিনে সারাদেশে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন৷ শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়েছে৷ বিএনপির লাগাতার অবরোধ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকেই৷ এই অবরোধ তেমন তীব্র না হলেও, জনজীবনে রয়েছে তার নেতিবাচক প্রভাব৷ সাধারণ মানুষ আছেন আতঙ্কে৷ তাঁরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না৷

শাসক দলের নেতা-কমীরাও মাঠে আছেন৷ তাঁরা নেমেছেন প্রতিরোধে৷ তাঁরা বলছেন, ‘‘আমরা নাশকতাকে প্রতিরোধ করব৷''

এই প্রেক্ষাপটে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দেশে এখন দেখে নেয়ার রাজনীতি চলছে৷ বিরোধী মতকে দমন করা হচ্ছে৷ আর এই দমনের জবাব দিতে গিয়ে বিরোধীরা কর্মসূচি দিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তা তেমন বাস্তবায়ন করতে পারছে না৷''

তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থণা করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না৷ যদি ঈশ্বর তাদের মনে সুমতি দেন, তাহলে হয়ত এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যাবে৷''

হাফি উদ্দিন খান বলেন, ‘‘এ পরিস্থিতির প্রধান শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷ তাঁরা যদি কোনো দিন জেগে ওঠেন, তাহলেও হয়ত এই অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে৷''তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশে এখন বিরোধিতার রাজনীতি নয়, প্রতিহিংসা আর দেখে নেয়ার রাজনীতি চলছে৷ এই রাজনীতি অব্যাহত থাকলে জাতির সামনে আরো চরম দুর্দিন অপেক্ষা করছে৷''

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. শান্তনু মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দু'টি দলই অতিমাত্রায় তাড়াহুড়ো করছে৷ সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য, আর বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য৷ ফলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করছে৷ এতে অবশ্য কোনো দলই লাভবান হচ্ছে না৷ বরং দুই দল সম্পর্কেই সাধারণ মানুষের খারাপ ধারণা বাড়ছে৷'' এছাড়াও ‘‘এই সময় বিদেশ থেকে আসা কিছু রাজনৈতিক কথাও পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করছে'', বলেন তিনি৷

ড. শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা কোনোভাবেই ২০১৩ সালের অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না৷ কিন্তু পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য