1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অব্যাহত

২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

শুক্রবারও দেশজুড়ে সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দেখালেন বিক্ষোভকারীরা। দিল্লি থেকে কলকাতা, উত্তরপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র-- প্রতিবাদ হয়েছে সর্বত্র।

https://p.dw.com/p/3VO58
ছবি: Reuters/D. Siddiqui

বছরের শেষ শুক্রবারেদিল্লিতেবিক্ষোভ হতে পারে। এমনই মনে করেছিল পুলিশ। শহরের কোণে কোণে এ দিন পুলিশি তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। বেশ কিছু এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি। তবে পুরো শহরেই এনআরসি এবং সিএএ বিরোধী বহু মিছিল হয়েছে। বিকেলে দিল্লি পুলিশের পিআরও এমএস রানধাওয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিক্ষোভ দমনের জন্য দিল্লি পুলিশ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল। সোশ্যাল নেটওয়ার্কেও নজর রাখা হয়েছিল। সারা দিনে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

দিল্লিতে বিক্ষোভ

(''বিক্ষোভ দমনের জন্য দিল্লি পুলিশ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল। সোশ্যাল নেটওয়ার্কেও নজর রাখা হয়েছিল। সারা দিনে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকলের কাছে আমাদের আবেদন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখুন।'')

শুক্রবার দিল্লির জামে মসজিদে নমাজের পরে বিক্ষোভ সভার আয়োজন হয়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এখানে এমন সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিদিনের মতোই জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। আয়োজন হয় সভার। জোরবাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করে আম্বেডকরপন্থী ভিম আর্মি। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বহু সাধারণ মানুষও। পুলিশ অবশ্য মাঝ পথেই মিছিল আটকে দেয়। তবে মিছিল ঘিরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এ দিন মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং কলকাতাতেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে নানা সংগঠন। মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মালিনী ভট্টাচার্য সেখানে যোগ দিয়ে বলেন, ''এই সরকার গণতন্ত্রকে শেষ করে দিয়েছে। গলা টিপে হত্যা করেছে। এদের বিরুদ্ধে আরও সঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে।'' কলকাতা এবং বেঙ্গালুরুতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এ দিন সভা করে।

তবে উদ্বেগজনক অবস্থা উত্তরপ্রদেশে। রাজ্যের ২১টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। তার মধ্যেই এ দিন বেশ কিছু সংগঠন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে। এ দিনও বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

দিল্লিতে জামিয়া মিলিয়ার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী ছাত্ররা এ দিন বলেন, পুলিশ সকাল থেকেই হিংসার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু গোটা দেশের বিক্ষোভকারীরা বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা প্রথম থেকেই শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছেন। এখনও পর্যন্ত যত হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে, তা পুলিশের অতি সক্রিয়তার জন্যই হয়েছে।

এসজি/কেএম (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি)