দোহায় জলবায়ু সম্মেলন শেষ হচ্ছে শুক্রবার
৬ ডিসেম্বর ২০১২বাংলাদেশের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ সালিমুল হক৷ এছাড়া তিনি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক যে বিশেষ প্যানেল রয়েছে, তার একজন সদস্য৷ লন্ডনের ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট'-এর ঊর্ধ্বতন ফেলো'ও তিনি৷
ডিডাব্লিউকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সালিমুল হক বলেন, তাঁর আশা দোহায় কিয়োটো প্রটোকল নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত হবে৷ তিনি বলেন, কিয়োটো প্রটোকলের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করতে রাজি ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ এর বাইরে আর দু-একটি বড় দেশ যদি এর পক্ষে অবস্থান নেয় তাহলেই চলবে, বলে মন্তব্য সালিমুল হকের৷
তিনি বলেন, ‘‘আসলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবটা চলে অনেক দিন ধরে৷ এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া৷ অন্যদিকে, বিভিন্ন দেশের সরকার চলে সময়ের কাঁটা ধরে৷ তাঁরা একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আসে৷ তাই বর্তমান সমস্যা নিয়েই তাঁরা বেশি মাথা ঘামান৷ ভবিষ্যত নিয়ে তাঁরা অতটা চিন্তা করতে চান না৷ তাঁরা মনে করেন, ভবিষ্যতের সমস্যা ভবিষ্যতের সরকারগুলোই সমাধান করবে৷ কিন্তু এটা তাঁরা ভাবতে চান না যে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভবিষ্যতে তাঁদের সন্তানরাই কি ধরণের সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে৷''
সালিমুল হক বলেন, এসব কারণে ধনী দেশগুলো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত জলবায়ু তহবিল দেয়ার অঙ্গীকার করলেও সেটা ঠিকমতো পালন করছে না৷ যেমন ৫৬০টি প্রকল্পের জন্য তিন বিলিয়ন ডলার দেয়ার অঙ্গীকার করলেও এখন পর্যন্ত ছাড় হয়েছে মাত্র ৫০০ মিলিয়ন ডলার৷
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ এবং সে দেশের মানুষ এই পরিবর্তন মোকাবিলার পন্থা জানে৷ আর তাই তো সম্প্রতি বাংলাদেশকে এ বিষয়ের ‘ল্যাবরেটরি অফ ইনোভেশন' বলে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ সালিমুল হক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার ও বড় ঘরবাড়ি তৈরির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষ হিসেবে দুর্যোগের সময় একে অপরকে সহায়তা করা এবং দুর্যোগ মোকাবিলার শক্তি অর্জন৷