ধূমপানের হার হ্রাসে পুরুষের ভূমিকাও বাড়ছে
২১ ডিসেম্বর ২০১৯গত বৃহস্পতিবার ডাব্লিউএইচও এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ সেখানে বলা হয়, সরকারের ধূমপানবিরোধী প্রচারের কারণেই এই সফলতা এসেছে৷
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটির মহাপরিচালক ট্রেডস আডিনম গ্যাব্রিয়াসিস বলেন, ‘‘অনেক বছর ধরেই আমরা পুরুষদের মধ্যে প্রাণহানিকর তামাক পণ্যের ব্যবহার শুধু বাড়তেই দেখেছি৷ এই প্রথম পুরুষদের মধ্যে এই হার কমতে দেখা যাচ্ছে৷ তামাক শিল্পের উপর সরকারের কড়া ব্যবস্থার কারণেই এই সাফল্য এসেছে৷’’
বিশ্বজুড়ে সরকারের 'জীবন রক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও তামাক প্রতিরোধ' ব্যবস্থা যে কাজ করতে শুরু করেছে, এই সাফল্য তার প্রমাণ৷ এ সাফল্য ধরে রাখতে ডাব্লিউএইচও সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে বলেও ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়৷
প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০০০ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে তামাক পণ্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৬০ কোটি কমেছে৷ নিশ্চিতভাবেই এটা বড় সাফল্য৷ ২০২০ সাল নাগাদ ধূমপায়ীর সংখ্যা আরো এক কোটি কমে যাবে বলে আশা ডাব্লিউএইচও'র৷ আর ২০২৭ সাল নাগাদ আরো প্রায় দুই কোটি ২৭ লাখ বিয়োগ হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷
ধূমপানের কারণে শুধু মুখে ও ফুসফুসে ক্যানসার বা শ্বাসকষ্ট হয়, এমন নয়৷ বরং ধূমপান হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও অনেক বাড়িয়ে দেয়৷ ধূমপানের কারণে গত কয়েক দশকে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷
এসএনএল/এসিবি (রয়র্টাস, ডিপিএ)