জনগণের প্রত্যাশা
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২আর বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা ক্ষমতার ভাগাভাগি, নাকি উন্নয়নের জন্য করা হয়েছে তা দেখতে হবে৷ তবে নতুনরা কিছু করার চেষ্টা করবেন এটাই স্বাভাবিক৷
নতুন পাঁচজন মন্ত্রী এবং দুইজন প্রতিমন্ত্রী দপ্তর পাবেন রোববার৷ তবে সাধারণ মানুষের কথা হলো, কত জন মন্ত্রী হলো তা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো সরকার দেশের মানুষের জন্য নতুন কিছু করল কিনা৷ আর নীতির পরিবর্তন না হলে মন্ত্রিসভার সদস্য বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই৷ তারপরও নতুন মন্ত্রীরা যেন সৎ থাকেন মানুষের কল্যাণে কাজ করেন এমন প্রত্যাশাতো আছেই৷
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, নতুন মন্ত্রীদের ক্ষমতার ভাগাভাগির জন্য নেয়া হয়েছে, নাকি সরকারের নির্বাচনি প্রতিশ্রতি পুরণে কাজে গতি আনতে নেয়া হয়েছে তা দেখতে হবে৷ অল্প সময়ে তাদের সাফল্য নির্ভর করবে তাদের অন্তর্ভুক্তির উদ্দেশ্যের ওপর৷
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এএসএম শাহজাহান অবশ্য আশাবাদী৷ তিনি মনে করেন, নতুন যাদের মন্ত্রিসভায় নেয়া হয়েছে তাদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ তারা নতুন মন্ত্রী হিসেবে নিশ্চয়ই ভাল কিছু করার চেষ্টা করবেন৷
বিশ্লেষকদের মতে নতুন এই মন্ত্রীদের হাতে সময় খুব কম, এক বছরের একটু বেশি৷ তারা সরকারের শেষ সময়ে মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন৷ তাই তাদের ঝুঁকি যেমন আছে তেমনি সুযোগও আছে৷ কারণ সরকার শেষ সময়ে নির্বাচনের জন্য হলেও ভাল কিছু করার চেষ্টা করে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক