নর্দমার পানি থেকে জ্বালানি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩আবর্জনা থেকে জ্বালানি উৎপাদনের বিষয়টি আমাদের জানা৷ এবার সেই আবর্জনামিশ্রিত পানি অর্থাৎ নর্দমার পানি থেকে নতুন উপায়ে জ্বালানি উৎপাদনের বিষয়টি নিয়ে চলছে গবেষণা৷ সোমবার সেই গবেষণাটির বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা৷
নর্দমা থেকে যে স্থানে গিয়ে পানি সাগর বা নদীতে পড়ে, সেখানে অণুজীবগুলোকে কাজে লাগাতে এই কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে বলে আশা করছেন তারা৷
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ গবেষক দলটি প্রথমে ছোট আকারে পরীক্ষাগারে গবেষণাটি করেছেন৷ ব্যাকটেরিয়ায় পরিপূর্ণ আবর্জনামিশ্রিত পানি একটি বোতলে রাখা হয়েছে৷ এরপর ডি-সেল ব্যাটারির পজিটিভ ও নেগেটিভ ইলেকট্রোড বোতলের পানিতে যুক্ত করা হয়েছে৷
পরীক্ষায় গবেষকরা দেখেছেন, ব্যাকটেরিয়াগুলো যখন জৈব রাসায়নিক পদার্থগুলো শোষণ করতে থাকে, অণুজীবগুলো গুচ্ছ আকারে নেগেটিভ ইলেকট্রোডের কাছে গিয়ে জমা হয়, আর অণুজীবনের ছুড়ে ফেলা ইলেকট্রনগুলো পজেটিভ ইলেকট্রোডে গিয়ে জমা হয়৷
গবেষণাটির অন্যতম লেখক পরিবেশ প্রকৌশলী ক্রেগ ক্রিডল এই পদ্ধতিটিকে ইলেকট্রন শিকার বলে উল্লেখ করেছেন৷
এই অণুজীবগুলো যে ইলেকট্রন উৎপাদন করলো, এগুলো বায়ুহীন পরিবেশে বেঁচে থাকতে সক্ষম৷ অক্সিজেন ছাড়াই এরা যখন শ্বাস নেয়, তখনই সেটা শক্তিতে পরিণত হয়৷
বেশ কয়েক বছর ধরেই গবেষকদের কয়েকটি দল অণুজীবগুলোকে বায়ো জেনারেটরে রূপান্তরের ভিন্ন ভিন্ন পন্থা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে বিফল হয়েছেন৷
গবেষকরা বললেন, নতুন মডেলটি খুবই সাধারণ, কার্যকর এবং আবর্জনামিশ্রিত পানি থেকে এটি ৩০ ভাগ শক্তি উৎপাদনে সক্ষম৷ সৌর প্যানেলের সাহায্যে সাধারণত এতটা শক্তিই উৎপাদিত হয়৷
তবে, সৌরশক্তির চেয়ে এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত শক্তির মাত্রা কিছুটা কম হলেও এর আর একটা সুবিধা হল, এই পদ্ধতিতে নোংরা পানি পরিষ্কার হয়ে যাবে৷
এপিবি/এসি (এএফপি)