স্যাটেলাইটের ব্যবহার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩মূল্যবান খনিজ সম্পদের খোঁজ, দুর্যোগকালীন সময়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানো, জ্বালানি, মৎস্যসম্পদ, কৃষিকাজ, পরিবেশ সংরক্ষণ – এমন কাজগুলো সম্পাদনের জন্য স্যাটেলাইটের কাছে ধরনা দেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের সরকার৷
যেমন একটা হিসেবে জানা যায়, ইউরোপের স্যাটেলাইট ইন্ডাস্ট্রি থেকে ইইউ দেশগুলো প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের সামাজিক ও আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকে৷
এভাবে স্যাটেলাইট থেকে সবাই সুবিধা নিলেও এর প্রসারে সাড়া দিতে সংস্থা ও সরকারগুলোকে খুব একটা আগ্রহী মনে হয় না৷
অর্থনীতি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম' এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্রুস উইনহেল্ট বলেন, ‘‘আসলে ব্যাপারটা অনেকটা ‘আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড' এর মতো৷ কারণ স্যাটেলাইটকে তো আপনি আর স্মার্টফোন এর মতো হাতে ধরতে পারেন না৷''
ইউরোপীয় স্যাটেলাইট অপারেটরস এসোসিয়েশন-এর মহাসচিব আরতি হোলাও অনেকটা একইরকম মন্তব্য করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আজকালকার দিনে সবাই স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ব্যবহার করে৷ অন্যদিকে মহাকাশ হচ্ছে অনেক দূরের ব্যাপার৷ তাই আমাদের প্রযুক্তিটাকে মানুষ মনে করে ‘টেকন ফর গ্র্যান্টেড'৷ অর্ধেকটা সময় মানুষের মনেই থাকে না যে তারা এটা ব্যবহার করছে৷''
এসব কারণে মহাকাশ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যাটেলাইট নামিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সে ব্যাপারে কারো খুব একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না৷ কেননা ব্যাপারটা অনেক ব্যয়বহুল৷
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির এ সংক্রান্ত কার্যালয় ‘স্পেস ডেবরিস অফিস' এর প্রধান হাইনার ক্লিনকার্ড বলেন, এ মুহূর্তে অর্বিট বা কক্ষপথে প্রায় ৬,৮০০ টন আবর্জনা জমে আছে৷