1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাগর্নো-কারাবাখ: যুদ্ধবিরতি মানছে না কোনো দেশ

১২ অক্টোবর ২০২০

শনিবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা মানেনি কোনও দেশ। আর্মেনিয়া-আজারবাইজান নিয়ে উদ্বেগে ইইউ।

https://p.dw.com/p/3jlzI
ছবি: Aris Messinis/AFP

যুদ্ধবিরতি কথার কথা। রোববারেও থামেনি নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের যুদ্ধ। প্রতিদিনের মতো এ দিনও দুই দেশ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অপরের দিকে আঙুল তুলেছে। আজারবাইজানের দাবি, রোববারেও তাদের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে লক্ষ্য করে কামান দেগেছে আর্মেনিয়া। যার জেরে আরো সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে বাড়ি-ঘর। আর্মেনিয়াও অভিযোগ করেছে, আজারবাইজান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।

শনিবার মস্কোয় আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল। আপাতত যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে দুই দেশই আটক যুদ্ধাপরাধীদের হস্তান্তর করবে বলে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বাস্তবে তার প্রভাব দেখা যায়নি। রোববারেও একই ভাবে যুদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ।

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রোববার ইইউ-এর পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বরেল আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, 'যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের যে রিপোর্ট আমাদের কাছে আসছে, তা অত্যন্ত চিন্তার এবং উদ্বেগের। দ্রুত এই যুদ্ধ বন্ধ করা দরকার। ইইউ সবরকম চেষ্টা করছে।' বস্তুত যুদ্ধ বন্ধের জন্য রোববার জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। দুইজনের মধ্যে দীর্ঘ কথা হয়েছে। তবে কোনো দেশই সরকারি ভাবে আলোচনার খুঁটিনাটি জানায়নি।

জার্মানি প্রথম দিন থেকেই যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানাচ্ছে। ইইউ-তে এ বিষয়ে প্রস্তাবও পেশ করেছে জার্মানি। অন্য দিকে রাশিয়া, ফ্রান্স এবং অ্যামেরিকা লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দুই দেশকে ফের একবার আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার। শনিবার যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল, তা যাতে দ্রুত বাস্তবে প্রয়োগ করা যায়, তার চেষ্টা চালানে হচ্ছে।

যুদ্ধ না থামলে বন্দি হস্তান্তর সম্ভব নয় বলেও দুই দেশ জানিয়ে দিয়েছে। এ দিকে যুদ্ধের ফলে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ গৃহহারা হয়েছেন বলে অধিকাররক্ষা সংস্থাগুলি জানিয়েছে। বহু মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এখনো পর্যন্ত একশরও বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কী ভাবে এই ক্ষতি পূরণ করা হবে, তা নিয়েও উদ্বেগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)