1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাগর্নো-কারাবাখ: যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গোলাগুলি

১১ অক্টোবর ২০২০

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির পরও একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া৷ যদিও রোববার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে এসেছে বলে দাবি করেছেন নাগর্নো-কারাবাখের এক নেতা৷

https://p.dw.com/p/3jl2a
Aserbaidschan | Berg-Karabach | Angriffe auf Ganja
ছবি: Umit Bektas/Reuters

বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলাসহ রোববার একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভাঙ্গার গুরুতর অভিযোগ করেছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া৷

নিজেদের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর গ্যাঞ্জায় বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলার জন্য আর্মেনিয়াকে দায়ী করেছে আজারবাইজান৷ আজেরি কর্তৃপক্ষ বলেছে, সকালে সেখানকার একটি আবাসিক ভবনে চালানো হামলায় নয়জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি৷ যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে আর্মেনিয়া৷ ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন আর্মেনিয়ার কর্মকর্তারা৷ তবে সেখানে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকারীদেরকে লাশ বহন করতে দেখেছেন সাংবাদিকরা৷

অন্যদিকে আর্মেনিয়ার একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, আজারবাইজান সারারাত ধরে গোলা বর্ষণের মাধ্যমে উস্কানি দিয়ে গেছে৷

তবে নাগর্নো কারাবাখ সরকারের প্রধান আরাইক হারুতিউনিয়ান দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে৷ যদিও দ্রুতই এর পরিবর্তন ঘটতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি৷

এর আগে শনিবার দুই দেশই সংঘাত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে একমত হয়েছিল৷ মস্কোতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যস্থতায় দুই দেশের কূটনীতিকরা এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হন৷ কিন্তু এরপরও দুই পক্ষ থেকেই গোলাগুলি অব্যাহত ছিল৷ এজন্য শনিবারই পরস্পরকে দায়ী করেছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া৷

যুদ্ধবিরতি টিকবে?

এমন প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আদৌ টিকবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ এই বিষয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া সরকারের সঙ্গে শনিবার রাতে টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে৷ তার মধ্যস্থতায়ই দুই দেশের কূটনীতিকরা এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিলেন৷ রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আজারবাইজান ও আর্মেনিয়াকে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো মেনে চলতে আহবান জানিয়েছেন সের্গেই লাভরভ৷

এই লড়াইয়ে ইতোমধ্যে কয়েকশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে দুই রাষ্ট্র হওয়ার পরই নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে সংঘাত বাধে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার৷ ১৯৯৪ সাল থেকে অঞ্চলটি আর্মেনিয়ার সেনা সহায়তায় সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ যদিও আন্তর্জাতিকভাবে নাগর্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত৷

এফএস/এআই (এএফপি, রয়টার্স)

সাত অক্টোবরের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান