শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি, ২৭ জনের মরদেহ উদ্ধার
৫ এপ্রিল ২০২১রোববার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ‘সাবিত আল আসাদ' নামের এই লঞ্চ ডুবে যায়। ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানাচ্ছে, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটির সঙ্গে মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি এলাকায় এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কা লাগে। তারপর লঞ্চটি ডুবে যায়। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "লঞ্চটিতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ছিল।”
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারি রোববার রাতে বলেছেন, পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অনেকে সাঁতরে তীরে এসেছেন। উদ্ধার হওয়া কয়েকজন যাত্রীকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে বলে মুক্তারপুর নৌ স্টেশনের ইনচার্য কবির হোসেন জানান।
তিনি বলেন, লঞ্চের অনেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠেছে। কেউ নিখোঁজ রয়েছে কিনা তা ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ ঘাট থেকে ৪০/৫০ জন যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পথে শীতলক্ষ্যা নদীর নির্মাণাধীন সেতুর কাছাকাছি একটি কার্গো জাহাজ ধাক্কা দিলে লঞ্চটি ডুবে যায়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সদর নৌ পুলিশের এসআই ইউনুস মুন্সী বলেছেন, লাইটার জাহাজ থেকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ডুবে যায়। অনেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, তিনজন ডুবুরি নামানো হয়েছে। প্রবল বাতাসের কারণে উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে বেশকিছু হতাহত কিংবা নিখোঁজ রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদসংস্থা এএফপি ও ডিপিএ জানাচ্ছে, করোনা বাড়তে থাকায় সরকার সোমবার থেকে লকডাউন ঘোষণা করেছে। তাই প্রচুর যাত্রী লঞ্চে উঠেছিলেন। এখনো বেশ কিছু যাত্রী নিখোঁজ।
জিএইচ/এসজি(বিডিনিউজ২৪ডটকম)