1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারী-পুরুষের ‘সহবাস’

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১ ডিসেম্বর ২০১৩

নারী-পুরুষের সহবাস বা লিভ-ইন সম্পর্ক বিবাহের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না৷ সেক্ষেত্রে পুরুষ সঙ্গী সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে গেলে, মহিলা পার্টনার আইনত তাঁর কাছ থেকে খোরপোষ দাবি করতে পারেন না৷ তাই এ জন্য প্রয়োজন পৃথক আইন৷

https://p.dw.com/p/1AQy9
ARCHIV - Ein junges Liebespaar geht Hand in Hand nahe dem brandenburgischen Müncheberg in den Sonnenuntergang, aufgenommen am 21.08.2005. Die Tage werden länger und die viel bedichteten und besungenen Frühlingsgefühle keimen auf. Foto: Patrick Pleul dpa/lbn (zu dpa-Themenpaket Frühlingsanfang am 19.03.2012) +++(c) dpa - Bildfunk+++ +***FREI FÜR SOCIAL MEDIA***
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa

সহবাস বা লিভ-ইন করার আগে মহিলা পার্টনারকে জানতে হবে যে, তাঁর পুরুষ সঙ্গি বিবাহিত কিনা৷ বিবাহিত হলে তাঁর কাছ থেকে যে খোরপোষের দাবি করা যাবে না, সেটা মনে রাখতে হবে৷ তাই লিভ-ইন করার আগে পুরুষ বা মহিলার বৈবাহিক সম্পর্ক দেখে নেবার সতর্ক-বার্তা দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট৷

Killer Love: Love and Sexual relations have emerged as the third most common cause for the Murders in India last year. Foto: DW, Kolkata on 18-09-2013.
নারী-পুরুষের সহবাস বা লিভ-ইন সম্পর্ক বিবাহের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে নাছবি: DW

২০০৫ সালের পারিবারিক হিংসা আইনের ব্যাখ্যাকালে শীর্ষ আদালতের রায়: কোনো বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে যদি কোনো মহিলা জেনে বা না জেনে সহবাস করে থাকেন, তাহলে তা এই আইনের আওতায় পড়ে না৷ কারণ এটাকে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ধরা যায় না৷ তাই পারিবারিক হিংসা আইন এখানে প্রযোজ্য হতে পারে না৷ বরং পুরুষের বিবাহিত স্ত্রী এই যুক্তিতে তাঁর স্বামীর লিভ-ইন মহিলার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারেন যে, ঐ মহিলা তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদের স্বামীর বা সন্তানের পিতার স্নেহ, ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করেছেন৷

সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এটা ভালোমতোই জানেন যে, একজন বিবাহিত পুরুষ লিভ-ইন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গেলে তাঁর সামাজিক বাস্তবতা একজন মহিলা এবং লিভ-ইন জাত সন্তানের পক্ষে কতটা বেদনাদায়ক ও কষ্টকর হতে পারে৷ বিশেষ করে, গরিব ও অশিক্ষিত মহিলাদের৷ এর প্রতিবিধানে শীর্ষ আদালত মনে করেন, সংসদের উচিত উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা৷ লিভ-ইন বা বিবাহ জাতীয় সম্পর্ক থাকা কোনো অপরাধ নয়, পাপও নয়, তবে ভারতের মতো দেশে সামাজিক দিক থেকে গ্রহণযোগ্যও নয়৷

লিভ-ইন জাতীয় সহবাসকে আইনি বৈধতা দিলে ভারতের মতো দেশে তার সামাজিক অভিঘাত কী হতে পারে? এর উত্তরে কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল স্টাডিস-এর অধ্যাপক দেবদাস ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, সামাজিক প্রতিবাদ বা সমালোচনা ওঠা স্বাভাবিক৷ কিন্তু সমাজসচেতন ব্যক্তিরা সহবাসের আইনি বৈধতা দেবার মধ্যে কোনো দোষ দেখেন না৷ তবে তার আগে নির্ধারিত করতে হবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষিত পুরুষ ও মহিলার মধ্যে লিভ-ইন বা সহবাসের সংজ্ঞাটা কী হবে৷ শুধুই যৌন সম্পর্ক নয়, থাকবে মানবিক দায়দায়িত্ব, জড়িত থাকবে সম্পত্তির অধিকারও৷ বহু পশ্চিমা দেশে লিভ-ইন নিয়ে আজ আর কেউ মাথা ঘামায় না৷ কিন্তু ভারতীয় সমাজে সেটা মেনে নেয়া সহজ হবে না, বলেন সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক দেবদাস ভট্টাচার্য৷

জৈনকা নারী বহু বছর লিভ-ইন করেছিলেন বিবাহিত ও দুই সন্তানের পিতা ভি. কে শর্মার সঙ্গে৷ পরে ভি. কে শর্মা ফিরে যান তাঁর আগের স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে৷ লিভ-ইন করা ঐ মহিলা ক্ষতিপূরণের মামলা করলে নিম্ন আদালত খোরপোষ হিসেবে উক্ত ব্যক্তিকে মাসে ২৫ হাজার টাকা করে খোরপোষ দেবার আদেশ দেন৷ কিন্তু উচ্চ আদালতে তা খারিজ হয়ে যায়৷ কারণ শীর্ষ আদালতে মতে, ঐ মহিলা জেনেশুনে বিবাহিত ঐ পুরুষকে লিভ-ইন পার্টনার করেছিলেন৷ কাজেই, চলতি আইনে ঐ লিভ-ইন সম্পর্ক বিবাহ জাতীয় নয়৷ বড় জোর উপ-পত্নী৷ লিভ-ইন সম্পর্ককে বিবাহ জাতীয় বলে গণ্য করতে হলে কয়েকটি মাপকাঠি থাকা জরুরি৷ যেমন কতদিনের সহবাস, গৃহস্থালি ভাগ, আর্থিক ব্যবস্থা, দৈহিক ও মানসিক সম্পর্ক, সন্তান প্রতিপালন, সামাজিকতা ইত্যাদি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য