‘নিছক গাফিলতি থেকে সুন্দরবনে দুর্ঘটনা’
২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ডয়চে ভেলেকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সুন্দরবনে তেল দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে তা জানিয়েছেন ড. অনুরাগ দাঁড়া৷ তিনি বলেন, ‘‘যেসব মানুষ দুর্ঘটনাসংশ্লিষ্ট অঞ্চলে মাছ এবং কাকড়া ধরে জীবন নির্বাহ করতেন, তেলের কারণে তাঁরা সরাসরি এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন৷''
সুন্দরবনের মধ্যে শীতকালে ঘন কুয়াশা পরে৷ তাই রাতের বেলা এবং ভোরে সেই কুয়শার মধ্যে বনের ভারতীয় অংশে জাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ করেছে ভারত, জানান ড. দাঁড়া৷ অথচ বাংলাদেশ এক্ষেত্রে বেশ উদাসীন৷ আর সেই গাফিলতি থেকেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন তিনি৷
ড. দাঁড়া জানান, ভারত সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে জাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ করেছে৷ বাংলাদেশও এটা করতে পারে৷ তবে সেক্ষেত্রে বিকল্প নদীপথ খুঁজে পাওয়া যে কঠিন তাও স্বীকার করেছেন এই বিশেষজ্ঞ৷
এদিকে, সুন্দরবনের তেল দুর্ঘটনার ভয়াবহতা ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন আরতি কুমার রাও৷ ভারতীয় এই আলোকচিত্রী গত কয়েকদিন ধরেই সুন্দরবনের তেল ছড়িয়ে পড়ার বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করছেন ফেসবুক, টুইটার এবং ইন্সটাগ্রামে৷ তাঁর এসব পোস্ট তেল দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভালো ভূমিকা রাখছে৷
উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার ভোরের দিকে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কাছে শেলা নদীতে সাড়ে তিন লাখ লিটারের ফার্নেল ওয়েলবাহী ট্যাংকার ডুবির পর, ছড়িয়ে পড়েছে তেল৷ ছড়িয়ে পড়া তেল সরিয়ে নিতে এখন অবধি কোনো আধুনিক পন্থা ব্যবহার করা হয়নি৷
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ