ছবিতে সুন্দরবনে তেল নিঃসরণ
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪সুন্দরবনে তেল অপসারণ নিয়ে নানারকম বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে৷ বাংলাদেশে সরকারের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, সাড়ে তিন লাখ লিটার ফার্নেস তেল সুন্দরবনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লেও এতে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না৷ একজন সাংবাদিকও মন্তব্য করেছেন, সুন্দরবন ঘুরে হতাশ হয়েছেন তিনি কেননা সেখানে তিনি তিনটি কাঁকড়া, একটা ছাগল, একটা গরু, একটা মুরগি ছাড়া মৃত কোনো প্রাণী দেখেননি৷
তবে জাতিসংঘ, গ্রিনপিসসহ বিভিন্ন সংগঠন এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, তেল নিঃসরণের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ডলফিন মরতে শুরু করেছে৷ গাছপালাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করছেন৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার এবং ইন্সট্রাগ্রামে এই ঘটনার কিছু ব্যতিক্রমী ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে৷ ইয়াহু ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক প্রেম পানিকর টুইটারে পোস্ট করেছেন এই ছবি দু'টি:
তাঁর এই টুইটের সূত্র ধরেই পাওয়া গেলো এক আলোকচিত্রীর সন্ধান৷ আরতি কুমার রাও সুন্দরবনে তেল দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, তুলেছেন বেশ কিছু ছবি৷ চলুন দেখা যাক, সেগুলোর কয়েকটি:
পরিবেশ আলোকচিত্রী আরতি ইন্সটাগ্রামেও এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন৷ এদিকে, অভিযাত্রী এবং পরিবেশ আন্দোলনকারী মুনতাসির মামুন ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য৷ তিনি জানান, ১ লাখ লিটার তেল নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটা এখনও পানিতেই আছে৷ ফলে ছড়িয়ে পড়া তেলের পরিমাণ আরও বাড়ছে বলে মনে করেন মামুন৷ তাই জাহাজটাকে সবার আগে ডাঙ্গায় তোলা দরকার বলে মত তাঁর৷
এখন পর্যন্ত সর্বকনিষ্ঠ এভারেস্টজয়ী বাংলাদেশি ওয়াসফিয়া নাজরীন সুন্দরবনে তেল নিঃসরণ নিয়ে বেশ কিছু টুইট করেছেন৷ এই বিষয়ে দেশে, বিদেশে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন তিনি৷ ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের বিজয় দিবসের দিনে এই বিষয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেন ওয়াসফিয়া৷
প্রসঙ্গত, সুন্দরবনে তেল নিঃসরণের ঘটনার পর পুরনো কিংবা একই রকমের অন্য ঘটনার কিছু ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন অনেকে৷ এই নিয়ে হয়েছে সমালোচনা৷ তবে এসব ছবি শেয়ারকারীদের দাবি, প্রতীকী অর্থে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে৷
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী