নিজামীর রায় স্থগিত
২৪ জুন ২০১৪সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায়ের দিন হিসেবে মঙ্গলবারকে ধার্য করে৷ কিন্তু নিজামীর অসুস্থতার কারণে সেই রায় ঘোষণা স্থগিত রাখতে হয়৷ এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, “আমরা রায় দেয়া যুক্তিসঙ্গত মনে করছি না। জেল কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়েছি এবং নিজামীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।”
মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে একাত্তরে গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনসহ ১৬ ধরণের অভিযোগ রয়েছে৷ রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ, তিনি একাত্তরের কুখ্যাত গুপ্তঘাতক বাহিনী আল-বদরের প্রধান ছিলেন৷
২০১০ সালের ২৯শে জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় নিজামীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ পরে ২রা আগস্ট তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷
গত বছরের ২৮শে মে ট্রাইব্যুনাল-১ নিজামীর বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে৷ গত বছরের ১৩ই নভেম্বর প্রথমবারের মতো এই মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়৷ কিন্তু রায় ঘোষণার আগেই অবসরে চলে যান ট্রাইব্যুনাল-১ এর তৎকালীন চেয়ারম্যান৷ পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল দ্বিতীয় দফায় মামলার সমাপনী যুক্তি শুনে গত ২৪শে মার্চ মামলার রায় অপেক্ষমান রাখে৷
নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
একাত্তরের ১০ই মে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার সাড়ে ৪০০ মানুষকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা এবং ৩০-৪০ জন নারীকে রাজাকাররা ধর্ষণ করে৷ ওই ঘটনায় নিজামীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে৷
এছাড়া একাত্তরের ৩০শে আগস্ট ঢাকার নাখালপাড়ায় পুরোনো এমপি হোস্টেলে আটক মুক্তিযোদ্ধা রুমী, বদি, জালাল, আলতাফ মাহমুদ প্রমুখকে হত্যার জন্য পাকিস্তানি সেনাদের প্ররোচনা দিয়েছিলেন নিজামী৷
নিজামীর বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৬ই ডিসেম্বরের আগমুহূর্তে নিজেদের পরাজয় বুঝতে পেরে আল-বদর ও পাকিস্তানি সেনারা বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যা করে মরদেহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে ফেলে দিতেন৷ সেসময় নিজামী তাঁর অধীনস্ত রাজাকার ও আল-বদরদের এ সব অপরাধ করতে উসকানি ও প্ররোচনা দিয়েছেন৷
এর আগে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ নয়জনকে দণ্ড দিয়েছে এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল৷