1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তাহীনতায় অভিবাসীরা

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ছুরি হামলায় নিহত হয়েছে এক জার্মান কিশোরী৷ অভিযোগের আঙুল আফগানিস্তান থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশী এক কিশোরের দিকে৷ তা নিয়েই উত্তপ্ত জার্মানির ছোট্ট একটি শহর৷ অভিবাসীরা এখন নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত৷

https://p.dw.com/p/2rz58
ছবি: picture alliance/dpa/J. Weber

জার্মানির খুবই ছোট এক শহর কান্ডেল৷ মাত্র আট হাজার মানুষের বাস সেখানে৷ গত ২৭ ডিসেম্বর সেই শহরের এক ওষুধের দোকানের সামনে রান্নাঘরের ছুরি নিয়ে হামলা চালানো হয় মিয়া ভি. নামের এক কিশোরীর ওপর৷ উপর্যুপরি ছুরির আঘাতে মারা যায় সেই কিশোরী৷

১৫ বছর বয়সি মেয়েটির পরিবার বলছে, হত্যাকারী ২০১৬ সালে আফগানিস্তান থেকে আসা এক কিশোর৷ তার বয়সও ১৫৷ মিয়া ভি-র সঙ্গে তার প্রেম হয়েছিল৷ কয়েক মাস পর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়৷ তারপর থেকেই ছেলেটি মিয়া ভি.-কে উত্যক্ত করছিল বলে অভিযোগ৷ মিয়া এবং তার বাবা-মা ছেলেটির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও করেছিল৷

গত সপ্তাহান্তে আট হাজার অধিবাসীর শহরটি যেন দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়৷ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বিক্ষোভ শুরু করে হাজার খানেক মানুষ৷ এক পক্ষ মিয়া ভি হত্যার প্রতিবাদ জানায়, স্লোগান দেয় অভিবাসীদের বিরুদ্ধে৷ অন্যপক্ষের ব্যানারে, ফেস্টুনে ছিল অভিবাসীবিরোধীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা৷

প্রতিবাদী অভিবাসীদরা একটি ব্যানারে লিখেছিলেন, ‘‘আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা চাই৷'' আরেকটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘‘সব জায়গাই এখন কান্ডেল৷'' এ সময় বর্ণবাদ রোধের আহ্বানও জানান বিক্ষোভে অংশ নেয়া অভিবাসীরা৷

পুলিশ বলছে, ফ্রান্স সীমান্তের কাছের শহরটিতে সেদিন যারা অভিবাসীবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে, তাদের বেশিরভা্গই বহিরাগত৷

পুলিশের মুখপাত্র সেবাস্টিয়ান বুরখার্ড ডয়চে ভেলেকে জানান, জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কিছু মানুষ কান্ডেলকে অভিবাসীবিরোধী প্রচারণার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে বলে তাঁদের ধারণা৷

মিয়া ভি. হত্যার ঘটনায় অনেকেরই জার্মানির আরেক শহর ফ্রাইবুর্গে ঘটে যাওয়া আরেকটি হত্যাকাণ্ডের কথা মনে পড়ছে৷ সেখানে এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগে এক আফগান অভিবাসনপ্রত্যাশীর বিচার চলছে৷

ডেভিড মার্টিন, এলিজাবেথ শুমাখার/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য