নির্বাচন আরো পেছানোর দাবি ঐক্যফ্রন্টের
১৪ নভেম্বর ২০১৮ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন পেছানোসহ নানা দাবি নিয়ে বুধবার বিকালে নির্বাচন ভবনে গিয়ে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ তাদের দাবিগুলোর মধ্যে ছিল ভোট পেছানো, ইভিএম ব্যবহার না করা, প্রশাসনে রদবদল, সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ নির্বাচন সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয়৷
দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দাবি বিবেচনার আশ্বাস পেয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন৷
‘‘আমরা সন্তুষ্ট৷ আমাদের দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেয়া হয়েছে৷ ভোটের বাকি সময়ে একই রকম সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি৷''
ড. কামাল বলেন, ‘‘তাঁরা (ইসি) বলেছেন, নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হবে৷ তাঁরা ধৈর্য ধরে আমাদের কথা শুনেছেন৷ আশা করি তাঁরা সহযোগিতা দেবেন৷''
তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি৷ তিনি ইসি'র আচরণের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে বলে জানান৷
‘‘আমি সামগ্রিকভাবে একটা কথা বলি, আমাদের নির্বাচনে থাকা-না-থাকা নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকারের আচরণের ওপর৷''
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছেন তাঁরা৷ এ বিষয়টিও ইসি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান ফখরুল৷
তিনি মনে করেন, নির্বাচন কমিশন সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যবহার করলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব৷
এর আগে নির্বাচন কমিশন প্রথম দফায় ২৩ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে৷ সে সময় ভোট এক মাস পেছানোর দাবি করে ঐক্যফ্রন্ট৷
এসব দাবির মুখে ইসি নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়৷ কিন্তু এই সময় পর্যাপ্ত নয় বলে অসন্তুষ্টি জানায় ঐক্যফ্রন্ট৷ এর প্রেক্ষিতেই আবারও ইসিতে আলোচনার জন্য যান ফ্রন্টের নেতারা৷
ইসির সঙ্গে বৈঠকে ড. কামাল ও ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেন, মওদুদ আহমদ; কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান তালুকদার; জেএসডির আবদুল মালেক রতন, শহীদ উদ্দিন স্বপন; গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী; নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম; জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমদ এবং গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু ও মোকাব্বির খান৷
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ৷
জেডএ/এসিবি (বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম)