নির্বাচন বাতিল করুন: বিএনপি
৭ জানুয়ারি ২০১৪
খালেদা জিয়া তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ৫ই জানুয়ারির ‘কলঙ্কময় প্রহসন'-কে জনগণ বর্জন করেছে৷ তাই অবিলম্বে সরকারকে এই নির্বাচন বাতিল করতে হবে৷ একই সঙ্গে সরকারকে পদত্যাগ করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং সকলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারকে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ তবে প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদও জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন৷
এর আগেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করে বিএনপিকে আলোচনা এবং সমঝোতায় আসার আহ্বান জানান৷
আন্দোলন চলবেই...
এদিকে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, রবিবারের ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার পুরোপুরি অবৈধ হয়ে গেছে৷ তাই এই অবৈধ সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়৷ আন্দোলনের মাধ্যমেই অবৈধ সরকারকে বিদায় করা হবে৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে৷ নতুন আন্দোলনে নেয়া হবে নতুন কৌশল৷ আর এ জন্য বিএনপির শীর্ষ নেতারা ১৮ দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে নতুন কর্মসূচি ঠিক করবেন৷
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা এবং সমঝোতার কথা বলে জনগনকে নতুন করে বিভ্রান্ত করার কাজে নেমেছেন৷ তিনি জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করে আলোচনা এবং সমঝোতায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপিকে৷ এটা শেখ হাসিনার নতুন ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই না বলে মন্তব্য করেন আহমেদ আজম খান৷ তিনি প্রশ্ন করেন, জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রাসী দল হলে সরকার তাদের নিষিদ্ধ করে না কেন? নিষিদ্ধ করলেই তো বিএনপি এবং ১৮ দলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক থাকবে না৷ তিনি বলেন, এই জামায়াতকে নিয়েই অতীতে আওয়ামী লীগ এক সঙ্গে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে৷
ওদিকে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে অবৈধ সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা সমঝোতার সম্ভাবনাকে নাকোচ করে দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন৷ তিনি বলেন, জনগণ নির্বাচন বর্জন করায় আন্দোলনের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া গ্রহণযোগ্য কোনো নির্বাচন হবে না৷ আর সেটা, আন্দোলনের মাধ্যমেই আসবে বলে মনে করেন তিনি৷
যুক্তরাজ্যের আহ্বান
অন্যদিকে বাংলাদেশের নতুন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য৷ নির্বাচনের পরের দিন সোমবার, ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েল্থ অফিসের সিনিয়র মিনিস্টার ব্যারেনেস সাঈদা ওয়ারসি এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তার দেশ৷ তিনি বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচনে ভোট পড়েছে কম৷ আর অর্ধেকেরও বেশি আসনে নির্বাচন না হওয়ায় মানুষ ভোটদানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন৷ তাই সহিংসতা এড়িয়ে আগামীতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর একসঙ্গে কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি৷